বাংলা হান্ট ডেস্ক : শনিবার কলকাতায় এসেছিলেন শ্রেয়া ঘোষাল (Shreya Ghoshal)। গত ৯ আগস্ট কলকাতার আরজিকর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের নির্মম ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি এখনও তরতাজা। এই ঘটনার প্রতিবাদে এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকরা। কলকাতার রাজপথে অনশন বিক্ষোভে সামিল তাঁরা। এই পরিস্থিতিতেই শনিবার ১৯ অক্টবর কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কনসার্ট করে গেলেন শ্রেয়া ঘোষাল (Shreya Ghoshal)।
কলকাতায় RG Kar কাণ্ডের প্রতিবাদ শ্রেয়া ঘোষালের (Shreya Ghoshal) কণ্ঠে
বরাবরই যেমন মিষ্টি গানের গলা, তেমনই মিষ্টি স্বভাব শ্রেয়ার (Shreya Ghoshal)। অনুরাগীরা বলেন তাঁর গলায় স্বয়ং মা সরস্বতীর বাস। খুব ছোট বয়স থেকেই গানের সাথে যুক্ত রয়েছেন শ্রেয়া। সংগীতের হাত ধরেই তার শ্রেয়া ঘোষালের (Shreya Ghoshal) ঝুলিতে এসেছে একাধিক সাফল্য আর সম্মান। খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছেও আজ পর্যন্ত অহংকার শব্দটা ছুঁতে পর্যন্ত পারেনি তাঁকে।
আর এই ভাবেই তিনি হয়ে উঠেছেন সারা দেশের ঘরের মেয়ে। নিজের প্রতিভার জোরেই এই সাফল্য পেয়েছেন। ভালো গায়িকা হওয়ার পাশাপাশি শ্রেয়া বরাবরই ভীষণ বিনয়ী। আগস্ট মাসের শুরুতে কলকাতায় ঘটে যাওয়া নির্মম ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের জেরে আগেই কলকাতার গানের কনসার্ট পিছিয়ে দিয়েছিলেন গায়িকা।
১৪ই সেপ্টেম্বর কলকাতায় শো করার কথা ছিল শ্রেয়া ঘোষালের। কিন্তু সেই অনুষ্ঠান বাতিল করে দেন তিনি। সে সময় শ্রেয়া জানিয়েছিলেন, ‘একজন মহিলা হিসাবে ঘটনার নৃশংসতায় আমি শিউরে উঠছি। নির্যাতিতাকে কী ধরনের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছিল, তা ভেবেই আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিবাদীদের পাশে দাঁড়ানো অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বের মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করছি।’
আর এবার ঠিক মাস খানেকের ব্যবধানে কলকাতায় এলেন শিল্পী কলকাতা কলকাতার কনসার্টে স্টেডিয়াম ভর্তি মানুষের কাছে প্রথমেই শিল্পী অনুরোধ করলেন, ‘এই গান শোনার পর কেউ হাততালি দেবেন না। শুধু শুনুন’। এরপরে এদিন শ্রেয়া ঘোষালের কন্ঠে শোনা গেল আরজিকর কাণ্ডে উপর গাওয়া গান, ‘এই যে শরীরের চিৎকার।’
আরও পড়ুন : ছোটপর্দায় বিশ্বনাথ বসু! কোন চ্যানেলে আসছে নতুন গল্প ‘হরি ঘোষের গোয়াল’?
এরপর দেখা যায় গান গাওয়া শেষ করে নিঃশব্দে এদিন মঞ্চ ছাড়লেন শ্রেয়া। এরই মধ্যে এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে শ্রেয়া ঘোষালের কনসার্টের একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি ছেলে প্রেম নিবেদন করছে তার প্রেমিকাকে। শ্রেয়া তাঁদের নাম জানতে চাইলে তাঁরা জানায় তাঁদের নাম ঋষি আর অন্তরা। অন্তরাকে ঋষি প্রেমের ইস্তেহার করতে চায় জানতে পেরে সকলের সামনে শ্রেয়া এদিন বলে ওঠেন অডিটোরিয়ামে থাকা প্রত্যেকের নজর এখন তাঁদের দিকে। তাই খুব সুন্দরভাবে প্রপোজ করতে হবে।
এরপর দেখা যায় ঋষি আংটির বাক্স খুলে হাঁটু মুড়ে বসে পড়ার অন্তরাকে প্রপোজ করতে না। এমন প্রোপোজাল পেয়ে না বলতে পারেনি অন্তরাও। প্রসঙ্গত শ্রেয়া নিজেও ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। ২০১৫ সালে দীর্ঘ দিনের বন্ধু তথা প্রেমিক শিলাদিত্য মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন শ্রেয়া। জানা যায় শিলাদিত্যও শ্রেয়াকে একই রকম ভাবেই ভালবাসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। একবার এক সাক্ষাৎকারে গায়িকা জানিয়েছিলেন এক বন্ধুর বিয়েতে গিয়েই নাকি তাঁর কাছে বিয়ের প্রস্তাব এসেছিল।