বাংলাহান্ট ডেস্ক: কেকে (KK) চলে গিয়ে গোটা দেশের সঙ্গীত জগৎকে একা করে দিয়ে গিয়েছেন। বলিউড হোক কিংবা সুদূর দক্ষিণ সব ইন্ডাস্ট্রির জন্যই গান গেয়েছিলেন তিনি। এমনকি বাংলা ছবিতেও নিজের গান দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন শিল্পী। এমন একজন প্রতিভাবান গায়ক এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন তা কল্পনাও করতে পারেননি কেউ। এত বড় শোক কিছুতেই ভুলতে পারছেন না গায়িকা শ্রেয়া ঘোষাল (Shreya Ghoshal)।
বলিউডে রোম্যান্টিক গানের রাজা যদি কেকে হন তবে রানী শ্রেয়া ঘোষালকে বলাই যায়। দুই শিল্পীর কণ্ঠই ভার্সেটাইল। একসঙ্গে একাধিক গান গেয়েছেন দুজনে। সেই কেকের মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছিলেন শ্রেয়া। এক সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে সুরলোকে পাড়ি দিয়েছেন কেকে। কিন্তু এখনো গায়িকার সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ছাপ স্পষ্ট।
সম্প্রতি ফটোশুটের দুটি ছবি শেয়ার করেছেন শ্রেয়া। একটির ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে ‘অনকহি’ ছবিতে কেকের গাওয়া ‘এক পল কে লিয়ে’ গানটি। কালো ও রূপোলি লেহেঙ্গায় শ্রেয়া হাসিমুখে পোজ দিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু তাঁর পোস্টের ক্যাপশনে মন খারাপের ছোঁয়া।
গানের কথা ধার করে তিনি লিখেছেন, ‘ফির কেয়া হো কেয়া খবর। দেখা হ্যায় কিসনে কাল, আ রাত রোক লে, ফির হো না যায়ে সহর। এক পল কে লিয়ে হি সহি।’ গানের কথাগুলো যেন কেকের শেষ দিনের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। কেউ ভাবতেই পারেননি, যে মানুষটা মঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে এখন গান গাইছেন, কয়েক ঘন্টা পর তিনি চিরঘুমের দেশে পাড়ি দেবেন।
https://www.instagram.com/p/CegvniVti1I/?igshid=YmMyMTA2M2Y=
৩১ মে কলকাতায় অনুষ্ঠানের পর প্রয়াত হন কেকে। ১ লা মুম্বইবাসীর ঘুম ভাঙে মারাত্মক এই দুঃসংবাদ শুনে। দীর্ঘদিনের সতীর্থর অকালমৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিলেন শ্রেয়া। প্রয়াত গায়কের একটি ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘এই খবরটা আমি মেনে নিতে পারছি না। স্তব্ধ। কেকে কেন? এটা মেনে নেওয়া খুব কঠিন। হৃদয় ভেঙে খানখান হয়ে গিয়েছে! আমার জীবনে দেখে অন্যতম নম্র, অমায়িক এবং প্রকৃত মানুষ। ঈশ্বরের প্রিয় সন্তানকে পাঠানো হয়েছিল লক্ষ লক্ষ অনুরাগী, বন্ধু এবং সতীর্থদের মনে ভালবাসা ছড়ানোর জন্য। এখন ঈশ্বর তাঁকে ফিরিয়ে নিলেন?’
https://www.instagram.com/p/CePHIHIKxNz/?igshid=YmMyMTA2M2Y=
শ্রেয়া আরো লিখেছেন, ‘ওঁর পরিবার এখন কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সেটা কল্পনাই করতে পারছি না। আমার আন্তরিক সমবেদনা তাঁদের জন্য। ওঁর গভীর, স্বর্ণালি কণ্ঠস্বর আমাদের সবার হৃদয়ে ধ্বনিত হচ্ছে। শান্তিতে ঘুমোও কেকে।’