বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: মিরপুরে আজ ম্যাচের ফলাফল কি হবে তা পুরোপুরি নির্ভর করছিল বাংলাদেশের স্পিনাররা কতটা ভালো পারফরম্যান্স করতে পারবেন তার ওপর। তৃতীয় দিনের শেষে ভারতের হয়ে ক্রিজে ছিলেন অক্ষর প্যাটেল এবং নৈশপ্রহরী জয়দেব উনদকাট। ভারতের স্কোর ছিল ৪ উইকেট হারিয়ে ৪১। জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১০০ রান
এরপর আরও ৩৩ রান তুলতে গিয়ে তিনটা উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ভারতীয় দল। ফিরে গিয়েছিলেন গতকাল থাকা অক্ষর এবং উনদকাট। লিটন দাস গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন রিশভ পন্থ তাদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেন। কিন্তু তাকেও মাত্র ৯ রানে প্যাভেলিয়ানে ফেরত পাঠিয়ে দেন মেহেদী হাসান।
কিন্তু এরপরেই আটকে গেল বাংলাদেশ। ভারতের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রথম টেস্ট জয়ের অত্যন্ত কাছাকাছি এসেও ফের একবার হারের মুখ দেখতে হলো তাদের। সাকিব ২ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ৫ উইকেট নিয়েও দলকে জেতাতে পারলেন না। সৌজন্যে শ্রেয়স আইয়ার এবং রবি অশ্বিনের জুটি।
৭৪ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ভারতীয় দল। জয়ের জন্য তখনও ৭০ রানের বেশি বাকি ছিল। সেখান থেকে ১০১ রানের একটি দুর্দান্ত পার্টনারশিপ করে ভারতকে জয় এনে দিলেন দুজনে। ইনিংসের শুরুতে অত্যন্ত সতর্ক হয়ে ব্যাটিং করে পরের দিকে প্রয়োজনে আক্রমণ করে ভারতকে দ্বিতীয় টেস্টেও জয় এনে দিলেন দুই তারকা।
অশ্বিন ৪২ এবং শ্রেয়স ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন। দুজনেই ম্যাচের সেরা হওয়ার যোগ্য দাবিদার। বাংলাদেশের দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৬টি উইকেটে নেওয়ার পর ৪২ রানের এই গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসটি খেলেন। শ্রেয়স আইয়ার প্রথম ইনিংসে ৮৭ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯ করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। উপমহাদেশের উইকেটে নিজেকে ক্রমশই অপরিহার্য করে তুলছেন শ্রেয়স। এই ম্যাচ ও সিরিজ জয়ের পর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দৌড়ে বেশ সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে গেল ভারত