বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: শতরান করলেন সহ-অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। তার ১১১ বলে ১১৩ রানের ইনিংসের দৌলতে ম্যাচ জিতলো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ২৭৮ রানের টার্গেট ৪ ওভার বাকি থাকতেই অর্জন করে ফেলেছিল ভারত। শ্রেয়সকে যোগ্য সঙ্গত দেন ঈশান কিষান। ফলস্বরুপ ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতেন ধাওয়ানরা।
ভারতীয় দলে আজ দেখা গিয়েছিল বেশ কয়েকটি তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন। গত ম্যাচে কোনও রকম প্রভাব ফেলতে না পারা রুতুরাজ গায়কোয়াড় এবং রবি বিশ্নই বাদ পড়েছিলেন একাদশ থেকে। দলে এসেছেন বাংলা রঞ্জি দলের শাহবাজ আহমেদ এবং ওয়াশিংটন সুন্দর। এই দুটি পরিবর্তন ছাড়া বাকি ভারতীয় দল একইরকম ছিল।
গোটা ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেন মহম্মদ সিরাজ। নতুন বলে উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ডেথ ওভারেও কৃপণ বোলিং করেছেন এই পেসার। ভারতীয় দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য এখনও বুমরার পরিবর্ত ঘোষনা করেনি। সিরাজের আজকের পারফরম্যান্স ভারতীয় নির্বাচকদের তাকে নিয়ে ভাবতে বাধ্য করবে। আজ ডেথে চার ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১৮ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন সিরাজ। গোটা ম্যাচে তার বোলিং পরিসংখ্যান ১০-১-৩৮-৩। বাংলার শাহবাজ আহমেদও নিজের প্রথম ৭ ওভারে বেশ ভালোই বল করেছিলেন, কিন্তু শেষ ৩ ওভারে একটু বেশি রান বিলিয়েছেন। ১০ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে তিনি ১টি উইকেট পেয়েছেন।
ব্যাট হাতে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বড় রানের মুখ দেখেছেন এইডেন মার্করম এবং রেজা হেনরিক্স। মার্করম ৭৬ বলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কা সহ ৭৪ রান করে সিরাজের শিকার হন। ৮৯ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কা সহ ৭৯ রান করেছেন মার্করম। শেষদিকে ক্লাসেন ৩০ ও মিলার ৩৪ রান করলেও কেশব মহারাজের ধীর গতিতে করা ৫ রানের ইনিংস দক্ষিণ আফ্রিকার হারের পেছনে বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ব্যাট করতে নেমে ধাওয়ান (১৩) ও শুভমান (২৮) ভালো শুরু করেও বড় রান করতে ব্যর্থ হন। কিন্তু এরপর থেকে ঈশান কিষান ও শ্রেয়স আইয়ারের পার্টনারশিপের দৌলতে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি ভারতকে। তাদের মধ্যে ১৪৮ বলে ১৬১ রানের একটি অসাধারণ পার্টনারশিপ হয়। ফরচুনের বলে আউট হয়ে মাত্র সাত রানের জন্য নিজের শতরান হাতছাড়া করেন ঈশান কিষান। তার ৮৪ বলে ৯৩ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭টি ছক্কা ও ৪টি চার দিয়ে। তবে শ্রেয়স আইয়ার নিজের শতরান হাতছাড়া করেননি। শেষদিকে সঞ্জু স্যামসন ব্যাট করতে নেমে ৩৬ বলে ৩০ রানের একটি কার্যকরী ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করতে শ্রেয়সকে সাহায্য করেন। এর জয়ের ফলে মঙ্গলবার দিল্লির তৃতীয় ওডিআই কার্যত ফাইনালের আকার নিলো।