বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের সংবাদ শিরোনামে উঠে এল মথুরার (Mathura) শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি মুক্তি নির্মাণ ট্রাস্ট। জানা যাচ্ছে এই ট্রাস্টের অধ্যক্ষ আশুতোষ পাণ্ডেকে (Ashutosh Pandey) দেওয়া হল হুমকি। গতকাল রবিবার আশুতোষ একটি সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। শুধু তাই নয়, এই হুমকি দিচ্ছেন কিছু পুলিস আধিকারিক। এমনই দাবি আশুতোষের।
এদিন সংবাদমাধ্যমকে আশুতোষ পাণ্ডে জানান, ‘আমাকে ফোনে দু’বার হুমকি দেওয়া হয়েছে। থানাতেও অভিযোগ দায়ের করেছি। কোনও কাজই হয়নি।’ এছাড়া তিনি প্রাশসনকে তোপ দাগেন মামলাকে সঠিক ভাবে না চালানোর জন্য। শুধু তাই নয়, আশুতোষ জানান, তাঁর উপরেও ২২টি মামলা চলছে। তবে সবকটি মামলাই ধর্মগত বলেই দাবি তাঁর। ব্যাক্তিগত কোনও মামলাই নেই তাঁর বিরুদ্ধে।
প্রশাসনের বিরুদ্ধে তিনি আরও ক্ষোভ উগড়ে দেন মসজিদে লাগানো লাউডস্পিকার প্রসঙ্গে। তিনি আরও বলেন, প্রশাসন প্রথমে জনজাগরণ যাত্রার অনুমতি দেয়। কিন্তু পরে আবার মুখ্যন্ত্রীর অনুমতির দোহাই দিয়ে সেই যাত্রা বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ আশুতোষ পাণ্ডের।
এর আগে ২০২২ সালে হিন্দু মহাসভার কোষাধ্যক্ষ দীনেশ শর্মা আদালতে যে আবেদন করেন, শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমির গর্ভগৃহে শাহী ঈদগাহ মসজিদ তৈরি করা হয়েছে। প্রাচীন মন্দিরের বিতর্কিত স্থানে ভগবান কৃষ্ণের ‘অভিষেক’ ও পূজা করতে শাহী ইদগাহ মসজিদে প্রবেশের অনুমতিও চান তিনি। দীনেশ শর্মার দাবি, ‘তারা প্রথমে তরবারির জোরে আমাদের মন্দির আক্রমণ করেছিল, কিন্তু এখন আমরা প্রাচীন ঐতিহ্য ফিরিয়ে নেব। আমরা চাই মসজিদটি সরানো হোক এবং হিন্দুদের আত্মসম্মান ফিরিয়ে আনা হোক।’
এদিকে শাহী ঈদগাহ মসজিদ কমিটির সম্পাদক তানভীর আহমেদ বলেন, ‘মথুরায় এর চেয়ে ভালো দৃশ্য আর হতে পারে না, যে একদিকে ইদগাহ আর অন্যদিকে শ্রীকৃষ্ণ মন্দির। হিন্দুরা মন্দিরে পূজা করে, আর মুসলমানরা মসজিদে নামাজ পড়ে। কারো কোন সমস্যা নেই।’