বাংলাহান্ট ডেস্ক: সিরিয়াল শেষের মুখে। এখনো দর্শকদের মন যুগিয়ে উঠতে পারলেন না শ্রুতি দাস (shruti das)! আগামী ৩১ শে অক্টোবরই ‘দেশের মাটি’র শেষ সম্প্রচার। এই শেষ মুহূর্তে এসেও দোষের ভাগীদার হতে হচ্ছে ‘নোয়া’কেই। প্রতি নিয়ত দর্শকদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে শ্রুতিকে।
সিরিয়ালের ‘নোয়া’র তুমুল সমালোচনা করে ফ্যানপেজের অভিযোগ, ‘এখনো মাম্পির প্রশংসা কেউ করলে নোয়া রানীর মুখ ভার হয়, নিজের দোষে নিজের চাকরি হারিয়েছে, এখন আবার দাদুর সুপারিশে চাকরিতে ঢুকবে। অথচ সেই চ্যানেলের মুখ। শেষ সপ্তাহেও তাকেই প্রমোট করা হচ্ছে “নোয়া কি পারবে” লিখে…. এই ভুল গুলোই সিরিয়াল টাকে শেষের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেলো। এখানে চরিত্রগুলোর মধ্যে সমীকরণ ক্লিয়ার নয়। অনেক জটিলতা এখনো আছে। এমন আচমকা বন্ধ করার মানে কি?’
শ্রুতি অভিনয় ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছেন খুব বেশিদিন হয়নি। কিন্তু এর মধ্যেই যে পরিমাণে নেতিবাচকতার সম্মুখীন তাঁকে হতে হয়েছে তা রীতিমতো নজিরবিহীন। প্রথমে গায়ের রঙের জন্য ব্যক্তি শ্রুতিকে আক্রমণ করা হয়েছিল। বাধ্য হয়ে অভিনেত্রী আইনের শরণাপন্ন হতে ট্রোল শুরু হয় সিরিয়ালে তাঁর অভিনীত চরিত্রটিকে নিয়ে।
সিরিয়াল মূলত নোয়া কিয়ানকে নায়ক নায়িকা হিসেবে রেখে শুরু হলেও তাদের ছাপিয়ে যায় রাজা মাম্পি জুটি। প্রতি নিয়ত মাম্পির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে নোয়া চরিত্রটিকে। দর্শকদের প্রথম থেকে অভিযোগ যে চরিত্রটি বেশি যোগ্য অর্থাৎ মাম্পি তাকে প্রোমোট না করে আরো মাথায় তোলা হচ্ছে নোয়া ওরফে শ্রুতিকে।
এমনকি সিরিয়াল আচমকা শেষ হয়ে যাওয়ার জন্যও অনেকে শ্রুতিকেই দায়ী করছেন। এত নেতিবাচকতা নিয়ে পর্দার নোয়ার কী বক্তব্য? সংবাদ মাধ্যমকে তিনি সাফ জানান, প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে তিনি ব্যক্তিগত ভাবে যুক্ত নয়। তাঁকে যা নির্দেশ দেওয়া হয় তিনি সেটাই করেন।