বাংলাহান্ট ডেস্ক: মেহেন্দির রঙে হাত রাঙানো শ্রুতি দাসের (shruti das)। তাতে লেখা প্রেমিক স্বর্ণেন্দুর (swarnendu samaddar) নাম। বিয়ের মরশুমে হঠাৎ মেহেন্দি পরার শখ জাগল কেন শ্রুতির? তবে কি বিয়ের সানাই বাজতে চলেছে ‘দেশের মাটি’র নোয়ার ঘরে? পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের ঘরণী হতে চলেছেন তিনি?
কিন্তু অনুরাগীদের আশায় জল ঢেলে দিয়েছেন শ্রুতি নিজেই। এ মেহেন্দি আসলে তাঁর শখ পূরণ। বিয়ের মরশুম তুঙ্গে। শীতের হিমেল হাওয়া গায়ে মেখে মেহেন্দি সেরেমনি করছেন অনেকেই। নিজের বিয়ে না হলেও বিয়েবাড়ি রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু শ্রুতি জানান, তাঁর কোনোটাই নেই।
আসলে সুচন্দা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক মেহেন্দি শিল্পীর থেকে এই ধরনের মেহেন্দি শিখেছেন তিনি। মূলত অক্ষরের উপরে জোর দিয়ে আঁকা। রবীন্দ্রসঙ্গীতের লাইন ধার করে শ্রুতি লিখেছেন, ‘আমি তোমার প্রেমে হব সবার কলঙ্কভাগী’। মেহেন্দির মধ্যে লুকিয়ে স্বর্ণেন্দুর নাম।
ভালবাসার গভীরতার সাক্ষী দিয়ে বেশ গাঢ় হয়েছে মেহেন্দির রঙ। ছবি তুলেই হবু বরকে পাঠিয়ে দিয়েছেন শ্রুতি। তার দু মিনিটের মধ্যেই নাকি নিজের নাম খুঁজে প্রেমিকাকে দেখিয়ে দিয়েছেন স্বর্ণেন্দু। শ্রুতি আরো জানিয়েছেন, চলতি বছরেই তাঁদের বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল। কিন্তু করোনার জন্য ভেস্তে গিয়েছে পরিকল্পনা। অভিনেত্রী জানান, হয়তো এক দু বছর পর বিয়ে করতে পারেন তাঁরা।
https://www.instagram.com/p/CXvvnn-g6dJ/?utm_medium=copy_link
ত্রিনয়নী’ সিরিয়ালের সেটেই স্বর্ণেন্দুর সঙ্গে আলাপ শ্রুতির। সেখান থেকেই শুরু প্রেম। ত্রিনয়নীর পরিচালক ছিলেন স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। স্বর্ণেন্দু বয়সে শ্রুতির চেয়ে ১৪ বছরের বড়। তবে দুজনের বয়সের ফারাক নিয়ে দুই পরিবারের দিক থেকেও আপত্তি এসেছিল। কিন্তু শ্রুতির জেদের কাছে তা ধোপে টেকেনি। যাবতীয় কটাক্ষ সমালোচনার বিরুদ্ধে গিয়ে স্বর্ণেন্দুকে ভালবেসেছেন শ্রুতি।