বাংলাহান্ট ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayat Election) কেন্দ্র করে অশান্তির পরিস্থিতি এখনও অব্যাহত বাংলায়। ভোটের দিন সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় হিংসার খবর পাওয়া গিয়েছিল। বোমাবাজি, গুলির আওয়াজে সারাদিন ধরে সরগরম থেকেছে রাজ্য। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের খবরও মিলেছে অনেক জায়গা থেকে। এর মাঝেই তৃণমূল সরকার ঘনিষ্ঠ শিল্পী শুভাপ্রসন্নর (Shuvaprasanna) মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক।
পঞ্চায়েত ভোটের দিন নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার অবস্থান নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। সেদিন তাঁর পাশে দাঁড়িয়েই শুভাপ্রসন্ন দাবি করেছিলেন, বাম আমলের নির্বাচনে হিংসার ঘটনার তুলনায় এদিনের ঘটনা কিছুই নয়। কিন্তু দিন ঘুরতেই পুরোপুরি পালটি খেলেন চিত্রশিল্পী।
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এদিন শুভাপ্রসন্নের গলায় শোনা যায় অন্য সুর। রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, দেশের অন্য কোথাও নির্বাচনে এত হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হয় না। গণতন্ত্রের উৎসবে এত মৃত্যু মিছিল কেন? রাজ্যের এই পরিস্থিতি বদলাতে বুদ্ধিজীবীদের একত্রিত হয়ে রাস্তায় নামা দরকার। পাশাপাশি তিনি সকলের উদ্দেশে ডাক দিয়েছেন পথে নামার, মিছিল করার।
এখানেই থামেননি শুভাপ্রসন্ন। রাজীব সিনহার প্রশংসা করেই তিনি বলেন, তিনি একজন দক্ষ আইএএস তথা রাজ্যের মুখ্য সচিব ছিলেন। ভোটের দিনও যথেষ্ট দক্ষ হাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন তিনি, বক্তব্য শিল্পীর। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, বাম আমলেও ভোটে বহু হিংসার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে কখনোই কোনো অভিযোগের মুখে পড়তে হয়নি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের ভাল করতে গেলেও তাঁকে কথা শুনতে হয়।
শুভাপ্রসন্নের বিভিন্ন মন্তব্য নিয়ে আগেও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রাজ্যের শাসক দলের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় বহুবার সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। কিন্তু ইদানিং মাঝে মধ্যেই বেসুরে বাজতে দেখা যাচ্ছে শুভাপ্রসন্নকে। ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ করায় শাসক দলের বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছিলেন তিনি।
শুভাপ্রসন্ন এমনটাও বলেছিলেন, মানুষ পরিবর্তন চেয়েছিল ঠিকই। তবে মমতাকেই চেয়েছিল এমনটা নয়। সে সময়ে কোনো বিকল্প না থাকায় মমতাকে আনা হয়েছিল। তবে এখন যদি তিনি শোষক হয়ে ওঠেন তাহলে তাঁকে বদলে ফেলতেও সময় লাগবে না।