বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরোনোর অপেক্ষায় ছিল ইচ্ছাপুরের (Ichhapur) শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Shuvrajit Chatterjee) বাবা মা। সঠিক সময়ে প্রকাশিত হল ফলাফল। নেট ঘেটে দেখা গেল ছেলে ৩৬০ পেয়েছে। কিন্তু আনন্দ কোথায়? খুশি হওয়ার বদলে অনবরত কেদেই চলেছে শুভ্রজিৎ-এর বাবা-মা, বিশ্বজিৎ বাবু এবং শ্রাবণী দেবী।
শুভ্রজিৎ-এর স্বপ্ন
উচ্চমাধ্যমিকে পাশ করে উকিল হওয়ার স্বপ্ন দেখত শুভ্রজিৎ। সমাজের দলিত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে, সকলের বিচার পাইয়ে দেওয়াই ছিল তাঁর একমাত্র উদ্দেশ্য। মাধ্যমিকে আশানুরূপ ফল না হওয়ার মা কিছুটা বকাবকিও করেছিল। ক্লাস ইলেভেনে আবার কিছুটা ফাঁকি দিলেও, কথা দিয়েছিল উচ্চমাধ্যমিকে এমন রেজাল্ট করবে, কাগজে টিভিতে শুধু তাঁকেই দেখাবে।
চিকিৎসকের গাফিলতিতে প্রাণ হারায় শুভ্রজিৎ
এখন দেখাচ্ছেও তাই। কিন্তু রেজাল্টের জন্য নয়। চিকিৎসকের গাফিলতিতে বছর ১৮-এর এক যুবকের মৃত্যু, এই ঘটনার ভিত্তিতে। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। কিছুদিন আগেই আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ইছাপুর আনন্দমঠ হাইস্কুলের ছাত্র শুভ্রজিৎ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাঁকে শুধু স্থানান্তরিতই করা হতে থাকে। সেইসঙ্গে টেস্ট করে বলা হয় সে করোনা পজেটিভ। কিন্তু শেষ মেশ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলেও, শেষরক্ষা হয় না আর।
ছেলের আবদার রাখতে পারল না মা বাবা
চিকিৎসকদের গাফিলতিতে মৃত্যু হয় শুভ্রজিৎ-এর, এমনটাই অভিযোগ করেছে তাঁর বাবা মা। ছেলের এই অকাল মৃত্যুতে তারা দোষীদের শাস্তি দেবেই বলে বদ্ধপরিকর। ছেলের সৎকারের পরদিনই বেরোল উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল। ভালো রেজাল্টও করল শুভ্রজিৎ। শোকে পাথর হয়ে, ছেলের রেজাল্ট দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে শুভ্রজিৎ-এর মা। তিনি জানান, ‘রেজাল্টের পরে একটা দামী মোবাইল আবদার করেছিল ছেলে। কিন্তু ছেলে কথা রাখলেও, আমরা কথা রাখার সুযোগ পেলাম না’।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা