বাংলাহান্ট ডেস্ক: মিঠাই (mithai), এই একটা নাম গত কয়েক মাস ধরে সিরিয়ালপ্রেমীদের মুখে মুখে ঘুরছে। টানা ৩৪ সপ্তাহ ধরে বাংলা সেরা মিঠাই। একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে জি বাংলার এই সিরিয়াল। আর সম্প্রতি যা ঘটেছে সিরিয়ালে তা দেখে দর্শকদের বক্তব্য, আরো একবার সেরার মুকুটটা মিঠাইয়ের মাথাতেই উঠতে চলেছে।
মিঠাই আসার পর থেকেই নাকি বদলে গিয়েছে সিদ্ধার্থ। মোদক পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি একথা বিশ্বাস করেন দর্শকরাও। আগে যেখানে নিজেরই পরিবারের থেকে একটা দূরত্ব বজায় রেখে চলত সিড এখন সেই প্রত্যেকটি পালা পার্বণ, উৎসব অনুষ্ঠান তো বটেই, ছোটখাট বিষয়েও পরিবারের সঙ্গে থাকছে। দিদিয়া, শ্রী, নীপা, স্যান্ডিদের সঙ্গে আনন্দ করছে। এমনকি ইয়ার্কি, ঠাট্টা করতেও শিখছে সিদ্ধার্থ। মিঠাই ছাড়া ‘দাদুর রাগী নাতি’কে আর কেই বা বদলাতে পারে?
সম্প্রতি মনোহরায় পালিত হয়েছে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান। এই প্রথম বার দিদিয়া আর বোনদের থেকে ফোঁটা নিল সিড। আবার সদ্য তোর্সাকেও বিয়ে করে এনেছে সোম। তোর্সারও মনোহরায় এটাই প্রথম ভাইফোঁটা। স্বামীর হয়ে সে ঘোষনা করে দেয়, বোনেরা সকলেই সোমের থেকে এবার দারুন উপহার পাবে।
এদিকে সিদ্ধার্থের কখনোই এসব দিকে তেমন জ্ঞান নেই। তাই মিঠাই তাকে পরামর্শ দেয়, দামী কিছু নয়। বরং দিদি বোনদের জন্য মন থেকে বিশেষ কিছু প্ল্যান করুক তাদের দাদা। সেই উপহারটা যে এত ভাল হবে তা হয়তো কেউই ভাবতে পারেনি। ভাইফোঁটায় সোম হীরের কানের দুল উপহার দেয় তিন বোনকে। স্যান্ডিও নন্দা, শ্রী আর নীপাকে তাদের মনের মতোই উপহাল দেয়।
এবার পালা সিদ্ধার্থর। সে কী দেবে? সিড জানায়, দিদি বোনদের জন্য সে একটি গান বানিয়েছে। মিঠাই বিশেষ কিছু দিতে বলেছিল, তাই সারা রাত জেগে এই গানটা লিখেছে সে। তাই শুনে তোর্সার ব্যঙ্গ, মিঠাইরাণী, সিড তো কখনোই এমন কিপটে ছিল না! অবশ্য ট্যাঁশ বুড়ির মুখ পরক্ষণেই বন্ধ হয়ে যায়। নিজের গান দিয়ে মুহূর্তের মধ্যে আসর জমিয়ে দেয় সিড। তার সঙ্গে হাসিমুখে যোগ দেয় নন্দা, শ্রী, নীপা, সোম, রাতুল, রাজীব, মিঠাই, রুদ্ররা।
সোম নিজে সিডকে বলে, সে নিজেই জানে না বোনদের জন্য কত ভাল একটা উপহার সে দিল। নন্দার চোখে জল, শ্রী, নীপা দুজনেই সিডকে জানায়, উপহারটা তাদের খুব পছন্দ হয়েছে। এদিকে তোর্সার মুখ তখন দেখার মতো। সিড মিঠাইয়ের সঙ্গে রেষারেষি করতে গিয়ে নিজেই হেরে ভূত হয়ে গিয়েছে সে।