বাংলাহান্ট ডেস্ক: পিঠেপুলি, পাটিসাপটার দিন আসছে। এমন সময় ‘মিঠাই’কে (mithai) না হলে চলে? চলতি বছরে পিঠেপুলির সময় থেকেই পথচলা শুরু করেছিল জি বাংলার এই সিরিয়াল। বছরের শেষ পর্যন্ত ঝোড়ো ব্যাটিং করেছে এই সিরিয়াল। জনাইয়ের মেয়ে মিঠাইয়ের মনোহরায় মন মজেনি এমন সিরিয়ালপ্রেমী এখন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এমনি এমনি কি আর ৩৭ সপ্তাহ ধরে একটানা বাংলা সেরা রয়েছে এই সিরিয়াল!
আপাতত ডিসেম্বরের শীতের সঙ্গে সঙ্গে জমে উঠেছে সিড (siddharth) মিঠাইয়ের প্রেমও। বড় জা তোর্সা যাতে মিঠাইয়ের কোনো ক্ষতি না করতে পারে সেদিকে কড়া নজর রয়েছে সিদ্ধার্থর। কিছুদিন আগেই তোর্সার ষড়যন্ত্রে মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে তুলকালাম করেছিল মিঠাই। তা নিয়ে রাগারাগিও করেছিল সিদ্ধার্থ। আবার দাদাইয়ের দেওয়া শাস্তি ভেঙে যখন নীপাকে বাঁচাতে দুষ্কৃতীর বন্দুকের সামনে গিয়ে দাঁড়ায় মিঠাই, তখন স্ত্রীর জন্য ছুটে গিয়েছিল সিড।
তারপর থেকে সিডের উপর অভিমান মিঠাইয়ের। মুখে যতই বলুক পাত্তা না দেওয়ার কথা, আসলে বুক ফাটছিল সিডেরও। সুযোগ পেয়ে স্ত্রীকে কাছে টেনে নিয়ে তার চুলে ফুল গুঁজে দিয়ে রাগ ভাঙিয়েছে সিড। এমনকি মিঠাইয়ের জন্য মনে করে পছন্দ মতো সোয়েটারও কিনে এনেছে সে।
কিন্তু মোদক বাড়ির পিকনিক থেকে ফেরার পরেই বড় বিপদ এসে দাঁড়ায় গোটা পরিবারের সামনে। সিদ্ধেশ্বর মোদকের দোকানে নাকি নাকি বাসি মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে। যার জেরে বাজেয়াপ্ত হয়ে যেতে পারে দোকানের লাইসেন্স। বিষয়টা সরেজমিনে তদন্ত করে ছদ্মবেশে সোমের দোকানে গিয়ে হাজির হয় মিঠাই। জানা যায়, আশঙ্কা সত্যি। সোমের দোকান থেকেই বিক্রি হচ্ছে বাসি মিষ্টি।
পুরো ব্যাপারটা জানতে পেরেই সমরেশ ক্ষুব্ধ হয়ে সোমকে বলেন ব্যবসা আলাদা করে নিতে। এদিকে দাদাইয়ের সাধের ব্যবসা ভাগ হয়ে যাওয়ার দুঃখে চোখে জল মিঠাইয়ের। সে কান্না আর কিছুতেই থামে না। একমাত্র জনাইয়ের দোকানের চা ইর ডিম পাউরুটি পেলেই নাকি কান্না বন্ধ হবে মিঠাইয়ের।
https://www.instagram.com/p/CXoYhKJOO-T/?utm_medium=copy_link
স্ত্রীর চোখে জল দেখে মাঝরাতেই তাকে সঙ্গে নিয়ে দোকান খুঁজতে বেরোয় সিড। রখস্তার ধারের ঊক দোকান খুলে নিজে বাসনপত্র ধুয়ে চা আর ডিম পাউরুটি বানায়। মিঠাইয়ের মুখে হাসি ফুটলে তবেই তো সেও ‘হেপ্পি’ হবে। তাই চাওয়ালা হতেও আপত্তি নেই সিডের। সব দেখেশুনে আহ্লাদে আটখানা দর্শকরা। সিড মিঠাইয়ের প্রেম যত জমবে ততই নাকি টিআরপি বাড়বে, এমনটাই দাবি দর্শকদের।