বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেখতে দেখতে এক বছর কাটতে চলল সুশান্ত সিং রাজপুতের (sushant singh rajput) মৃত্যুর। গত বছর ১৪ জুন মুম্বইয়ের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় অভিনেতার দেহ। গোটা দেশ তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল এই ঘটনায়। সুশান্তের মৃত্যু রহস্যের তদন্ত করতে নামে তিন তিনটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু বছর ঘুরতে চললেও রহস্যের কোনো কিনারাই হয়নি।
অবশেষে সুশান্তের মৃত্যুবার্ষিকীর ঠিক আগে আগেই বড়সড় মোড় ঘুরেছে তদন্তে। আবারো নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর (NCB) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বন্ধু তথা ফ্ল্যাটমেট সিদ্ধার্থ পিঠানি (siddharth pithani)। হায়দ্রাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। মাদক যোগেই এই গ্রেফতার বলে জানা গিয়েছে এনসিবি সূত্রে। শীঘ্রই সিদ্ধার্থকে আদালতের সামনে পেশ করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে।
সুশান্তের সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে থাকতেন সিদ্ধার্থ। রিয়া চক্রবর্তীরও ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন তিনি। গত বছরেও একাধিক বার সিবিআই, ইডি ও এনসিবির জেরার মুখে পড়তে হয়েছিল। সিদ্ধার্থ পিঠানি ইডিকে তাঁর বয়ানে বলেছিলেন, সুশান্ত তাঁকে বলেছিলেন হার্ড ড্রাইভের সব ভিডিও ডিলিট করে দিতে। তিনি জানিয়েছিলেন, দিশার মৃত্যুর পর তাঁর নামের সঙ্গে সুশান্তের নাম জুড়ে দেওয়া হচ্ছে বলে খুবই ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেতা। তাঁর প্রাক্তন ম্যানেজার হঠাৎ আহত হওয়ায় অস্থায়ী ম্যানেজার হিসাবে কাজ করছিলেন দিশা।
সিদ্ধার্থ বলেছিলেন, রিয়া চলে যাওয়ার দুদিন পর অর্থাৎ ১০ জুন সুশান্ত তাঁকে বলেন হার্ড ডিস্কে থাকা তাঁর সব ভিডিও, গান ডিলিট করে দিতে। দিশার মৃত্যুর সঙ্গে তাঁর নাম জুড়ে দেওয়ার জন্য ভেঙে পড়েছিলেন সুশান্ত। এমনটাই বক্তব্য ছিল সিদ্ধার্থের। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, রিয়া চলে যাওয়ার পর থেকে সুশান্তের স্বাস্থ্যও ভেঙে পড়ে।
অভিনেতার দিদি মীতু তাঁর সঙ্গে ৮ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত ছিলেন। তারপর তিনিও চলে যান। পুরনো একটি সাক্ষাৎকারে সিদ্ধার্থ জানিয়েছিলেন, দিশার মৃত্যুর খবর জানতে পেরে খুব কেঁদেছিলেন সুশান্ত। এমনকি অজ্ঞানও হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় অভিনেতার দিদি তাঁর কাছে ছিলেন। তিনিই সুশান্তের দেখভাল করেন বলে জানান সিদ্ধার্থ।