দিঘা-পুরী অতীত, কলকাতার কাছেই একসঙ্গে পাবেন পাহাড়-নদী-ঝরনা! খরচও সামান্য

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সারাবছরেই বাঙালির কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে। আর, পাহাড়প্রেমী মানুষ গন্তব্য হিসেবে এই সময়ে অনেকে বেছে নেন উত্তরবঙ্গের পাহাড়। তবে বর্ষার মরশুমে পাহাড়ে থাকে ভূমিধসের সম্ভাবনা। তাই পাহাড় আর জঙ্গলের স্বাদ পেতে আপনারা উত্তরবঙ্গের বদলে ঘুরে আসতে পারেন উড়িষ্যার সাতকোশিয়া (Satkosia) থেকে। এই জায়গায় আপনার মন ভরাবে পাহাড়-জঙ্গল-নদী। বর্তমানে এই জায়গা উড়িষ্যা ইকো টুরিজমের (Odisha Eco Tourism) উদ্যোগে আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।

মহানদী সাতক্রোশ এসেছে পাহাড়ের গর্জের মধ্যে দিয়ে। সেই থেকে এই জায়গার নাম হয়েছে সাতকোশিয়া। এই অরণ্য অঞ্চল সম্পূর্ণ অন্য রূপ ধারণ করে বর্ষায়। ৮০০ বর্গ কিলোমিটারের এই ঘন জঙ্গল হল উড়িষ্যার দ্বিতীয় বৃহত্তম টাইগার রিজার্ভ। এই সাতকোশিয়া গড়ে উঠেছে পাহাড় জঙ্গল নদীর সংমিশ্রণে। এখানে, একটি ড্যাম রয়েছে, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অত্যন্ত মনোরম। মহানদীতে বোটিং করতে পারেন। এক ঘণ্টা বোটিং করতে লাগে কম-বেশি ৭০০ টাকা। স্পিড বোটে করে যেতে হবে।

বনভূমি জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে বাঘ, হরিন, হাতি, বাইসন, লেপার্ড‌, ভালুক ইত্যাদি। নানা রঙের ফুলের বাহার দেখা যায় এই অরণ্য অঞ্চলে। প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে সাতকোশিয়া নিঃসন্দেহে এক স্বর্গ। উপত্যকা জুড়ে সূর্যের আলো ও কুয়াশার খেলা আপনার মন ছুঁয়ে যাবে। এছাড়াও হেঁটে দেখতে পারেন সিধামূলা নেচার ক্যাম্প। স্কুইরেল, ওরিয়েন্টাল ব্লু ম্যাগপাই বা প্যারাডাইস ফ্লাইক্যাচারের দেখা পেতে পারেন হাঁটতে হাঁটতে।

Satkosia

হাওড়া থেকে সম্বলপুর এক্সপ্রেসে চেপে যেতে হবে কটক বা অঙ্গুল। অঙ্গুল থেকে গাড়ি ভাড়া করতে পারেন সাতকোশিয়ার জঙ্গল ঘুরে দেখার জন্য। এছাড়াও, কলকাতা থেকে গাড়িতে গেলে NH16 ধরে বালাসোর, ভদ্রক হয়ে কটকের ১৩কিমি আগে মঙ্গলু চক থেকে NH55 ধরে অঙ্গুল। টেন্ট কটেজ থেকে শুরু করে এসি ও নন-এসি তাঁবু আছে থাকার জন্য। খাওয়া-দাওয়ার খরচ দিন প্রতি ২৫০০ টাকা থেকে শুরু।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর