মঙ্গল গ্রহের ৮.৮ কিমি নিচেই রয়েছে আসল রহস্য, মিলল “এলিয়েন লাইফ”-এর চিহ্ন! অবাক বিজ্ঞানীরাও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মঙ্গল গ্রহে (Mars) প্রাণের সন্ধানের পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রায়শই আমরা বিভিন্ন আপডেট সামনে পাই। মূলত, NASA থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা লাল গ্রহে প্রাণের প্রমাণ খুঁজতে ব্যস্ত রয়েছে। ঠিক এই আবহেই এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে।

মঙ্গল গ্রহে (Mars) বিরাট রহস্য:

এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, বিজ্ঞানীদের একটি দল এবার গবেষণার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন যে মঙ্গল গ্রহের (Mars) একটি নির্দিষ্ট অংশ একটা সময়ে বিশেষ প্রজাতির অনুজীবের অস্তিত্ব ছিল। আন্দ্রেয়া বুটুরিনির নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী গবেষণাটি উপস্থাপন করেছেন। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে বলছে যে মঙ্গলের অ্যাসিডালিয়া প্লানিটিয়া সমভূমিতে একসময় অণুজীবের বিকাশ ঘটে থাকতে পারে।

Signs of alien life found on Mars.

এদিকে, ওই সেগুলি মিথেনোজেন হতে পারে। যেগুলি ওই গ্রহের (Mars) পৃষ্ঠের নীচে বিদ্যমান ছিল। নিউ সায়েন্টিস্টের রিপোর্টে এই তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে। মূলত, এই দলটি মঙ্গলে বিভিন্ন মিশনের অধীনে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছে যে একটি সাব-সারফেস জোন অর্থাৎ পৃষ্ঠের নীচেও একটি বিস্ময়কর জগৎ রয়েছে। এটি ৪.৩ কিলোমিটার থেকে ৮.৮ কিলোমিটার গভীরতায় উপস্থিত বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: রোহিত শর্মার এই একটি সিদ্ধান্তেই ঘটল বিপদ! রেগে লাল অনুরাগীরা, শুরু তুমুল সমালোচনা

এই স্তর সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, সেখানে অনুজীবের কার্যকলাপের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ হয়তো ছিল। এই স্তরটি বাহ্যিক পরিবেশের কঠোর অবস্থা থেকে সুরক্ষিত। প্রাচীনকালে বিদ্যমান জল এবং ভূ-তাপীয় তাপের চিহ্নও সেখানে লুকিয়ে থাকতে পারে। এই দু’টি জিনিসই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে পরিচিত। যদিও, মঙ্গলে (Mars) এই ধরণের ব্যাকটেরিয়া খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন বলে মনে হলেও এই গবেষণাটি আশা জাগিয়েছে।

আরও পড়ুন: ভয়াবহ বিপদের আশঙ্কা! বাংলাদেশ নয়, এবার এই দেশ থেকে ভারতীয়দের দূরে থাকার নির্দেশ বিদেশ মন্ত্রকের

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যেই একাধিক অরবিটার এবং রোভার মঙ্গলে (Mars) গেছে। সেগুলির কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন গবেষকরা। বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন মঙ্গলের উত্তর গোলার্ধে অ্যাসিডালিয়া প্লানিটিয়া নামে একটি সমভূমি রয়েছে। যার প্রস্থ ৩ হাজার কিলোমিটার। এই বিষয়ে গবেষণা বলছে, সেখানে মিথেনোজেনের বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ থাকতে পারে। মিথেনোজেন ব্যাকটেরিয়া আসলে মিথেন তৈরি করে। কিন্তু, বিষয়টি গভীরভাবে অধ্যয়ন করতে, বিজ্ঞানীদের মঙ্গলের পৃষ্ঠের নীচে মাইল খনন করতে হবে। যার জন্য মঙ্গলে খুব উন্নত মিশন পাঠাতে হবে। বর্তমানে এই ধরণের প্রযুক্তি উপলব্ধ নেই।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর