বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানে হিন্দু তথা সংখ্যালঘুদের উপর হওয়া অত্যাচার কারোর কাছে আর লোকানো নেই। সিন্ধ প্রদেশ হোক, আর বালুচিস্তান পাকিস্তানের মুখোশ এখন সবার সামনে খুলে গেছে। এবার এই অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পাকিস্তানের প্রাক্তন বিধায়ক বলদেব কুমার ভারতের কাছে আশ্রয় চাইল। অবাক করা কথা হল, বলদেব কুমার পাকিস্তানের শাসক দল তথা ইমরান খানের পার্টি তেহরিক-এ-ইনসাফ এর নেতা। তিনি খাইবার পাখতুনখাঁ প্রান্তের বারীকোটের সংরক্ষিত আসন থেকে বিধায়ক ছিলেন।
বলদেব নিজের এবং নিজের পরিবারের প্রাণ বাঁচাতে ভারতে এসেছেন। আপতত তিনি ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে আছেন। তিনি জানান যে, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুরা ভয়ে জীবন যাপন করছে। বলদেব একসময় খাইবার পাখতুনখাঁ বিধানসভায় সংখ্যালঘুদের স্বার্থে লড়তেন। এবার তিনি নিজের জীবন বাঁচাতে ভারতের চলে এসেছেন। তিনি জানান যে, তিনি ইমরান খানের উপর অনেক আশা করেছিলেন। কিন্তু ইমরান ক্ষমতায় আসার পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। ইমরানের সময়ে হিন্দু আর শিখদের উপর অত্যাচার আরও বেড়ে গেছে।
বলদেব ১২ই আগস্ট তিন মাসের ভিসা নিয়ে ভারতে এসেছিলেন। তিনি কয়েকমাস আগেই নিজের পরিবারকে পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় পরিজনদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি এখন আর পাকিস্তানে ফেরত যেতে চাননা। তিনি জানান, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার এখন সীমা ছাড়িয়েছে। সেখানে হিন্দু আর শিখ নেতাদের হত্যা হচ্ছে। আর এই কারণেই তিনি ভারতের কাছে আশ্রয় চাইছেন।
বলদেব ২০০৭ সালে পাঞ্জাবের খান্না এলাকার বাসিন্দা ভাবনার সাথে বিয়ে করেন, তখন তিনি পাকিস্তানের কাউন্সিলর ছিলেন, পরে বিধায়ক হন। তিনি আপাতত পাঞ্জাবের খান্নার রামলালা মার্গ টাউনশিপে দুটি কামরার ঘর নিয়ে থাকছেন। ওনার স্ত্রী এখনো ভারতীয়। ওনার দুটি সন্তান আছে, স্যাম (১০) আর রিয়া (১০) এরা দুজনেই পাকিস্তানের নাগরিক। ওনার কন্যা সন্তান রিয়ার থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসা চলছে।
কিন্তু বলদেবকে এমন সময় ছাড়া হয়, যখন বিধানসভার কার্যকাল শেষ হতে মাত্র দুই দিন বাকি ছিল। হত্যার মামলায় ছাড়া পাওয়ার পর বলদেবকে বিধায়ক পদে শপথ নেওয়া করানো হয়েছিল। কিন্তু মাত্র ৩৬ ঘণ্টার জন্য। বলদেব জানান, আমি আশা করেছিলাম ইমরান খান নতুন পাকিস্তান বানাবে, কিন্তু তিনি পাকিস্তানের জনতা বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিতে ব্যার্থ।