বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: বিয়ের দিন গায়েব পাত্র। হবু জামাইয়ের খোঁজ না পেয়ে পুলিস ডেকে সোজা ছেলের বাড়িতে হাজির হলো পাত্রীপক্ষ। এমনই আজব ঘটনা ঘটেছে শিলিগুড়িতে। পাত্রীপক্ষের তরফ থেকে তোলা অভিযোগ অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে পণের দাবি না মানাতেই লুকিয়ে রাখা হয়েছে তাদের হবু জামাইকে।
শিলিগুড়ির প্রধাননগর এলাকার বাঘাযতীন কলোনির বাসিন্দা সুদীপ চ্যাটার্জির কন্যার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছিল এনজেপি থানার অন্তর্গত ভক্তিনগর এলাকার বাসিন্দা পরিমল গোস্বামীর ছেলে প্রসেনজিৎ গোস্বামীর সাথে। সম্বন্ধ করে দুপক্ষের মধ্যে আলাপ আলোচনার পরেই বিয়ের তারিখ ঠিক হয়। মেয়ের পরিবারের মতে ছেলে ও মেয়ে, উভয়েই রাজি ছিল বিয়েতে। কোনও আপত্তি ছিল না। কিন্তু আজ যখন সব ঠিক, তখনই ছেলেকে খুঁজে হাপিস বলে জানায় ছেলের পরিবার।
এরপর বাধ্য হয়েই প্রধাননগর থানার দ্বারস্থ হয় কনেপক্ষ। শেষে প্রধানগর থানার পুলিসকে সাথে নিয়ে পাত্রের বাড়িতে এসে হাজির হয় পাত্রীপক্ষ। দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক তর্কাতর্কিও হয়। পাত্রীর বাবা সুদীপ চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, “আজ আমার মেয়ের বিয়ে, সব আয়োজন সম্পূর্ণ। ঠিক দুদিন আগে আচমকা জানানো হয় যে ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা গত দুদিন ধরে তার বাড়িতে যাতায়াত করছি। কিন্তু হদিশ মিলছে না ছেলের। আমাদের অনুমান এটা ঘটানো হয়েছে। পাত্রকে তাঁর বাড়ির লোকেরাই লুকিয়ে রেখেছে। আর ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে ছেলের দিদি ও জামাইবাবু।”
কিন্তু কেন এমন করছে পাত্রপক্ষ। এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “পণের দাবি করা হয়েছিল। আমরা রাজি ছিলাম না। সেই জন্যই হয়ত এই ঘটনা। এর যদি সুরাহা না মেলে তাহলে আমরা আইনের দ্বারস্থ হব।” অন্যদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ পাত্রপক্ষ।অন্যদিকে ভক্তিনগর এলাকার কাউন্সিলর শম্পা নন্দীর স্বামী তথা এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর জয়দীপ নন্দী ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছেন যে তারা চেষ্টা করবেন যাতে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার মধ্য দিয়ে সব ঠিক হয়ে যায়, কিন্তু তা না হলে পাত্রীপক্ষ আইনের দ্বারস্থ হবে।