বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ওয়াকফ আইন (WAQF Act) বিরোধী প্রতিবাদে বর্তমানে উত্তাল বাংলা। মুর্শিদাবাদ অশান্তির (Murshidabad Violence) আঁচ রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে মুখ খুলেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এই আবহে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াল শিলিগুড়িতে (Siliguri Violence)। এলাকায় পুলিশ ও র্যাফের টহল শুরু হয়েছে।
দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত শিলিগুড়ি (Siliguri Violence)!
সোমবার ভোরবেলা তেতে ওঠে শিলিগুড়ি পুরসভার ৪ নং ওয়ার্ড এলাকা। জানা যাচ্ছে, কিছুদিন আগে ওই এলাকায় কয়েকজন গাজন সন্ন্যাসীর ওপর হামলা হয়। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এলাকা। আজ ভোর ৫:৩০ নাগাদ দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে আচমকাই ওই অঞ্চল তেতে ওঠে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হন দু’জন পুলিশকর্মী।
জানা যাচ্ছে, এদিন সকালে এক গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করেছিল। পাল্টা অপর পক্ষের তরফ থেকে পাথর ছোঁড়া শুরু হয়। অভিযোগ, এই সংঘর্ষে একাধিক টোটো, বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মূল বেতনের সঙ্গে জুড়বে DA? একধাক্কায় ৪ গুণ বাড়তে পারে সরকারি কর্মীদের বেতন! কত টাকা হবে?
সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হন দু’জন পুলিশ কর্মী। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন পুলিশ কমিশনার (Police Commissioner) নিজে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ব্যবহার করে পুলিশ।
আপাতত কোনও অশান্তির খবর সামনে না এলেও, থমথমে গোটা এলাকা। কমিশনার পি সুধাকর বলেন, একটি গুজব থেকে এদিন সকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সাধারণ মানুষকে গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি (Siliguri) শহর জুড়ে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। নানান জায়গায় সাধারণ পোশাকে পুলিশ টহল দিচ্ছে। সেই সঙ্গেই রয়েছে র্যাফ।
এদিকে গত শুক্রবার থেকে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। ওয়াকফ আইন বিরোধী প্রতিবাদ থেকে অশান্তির সূত্রপাত। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এর মাঝেই এবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল শিলিগুড়ি (Siliguri Violence)। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে তেতে ওঠে শিলিগুড়ি পুরসভার ৪ নং ওয়ার্ড এলাকা।