বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খবর সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, রাজস্থানের (Rajasthan) আলওয়ার জেলার রানি মহকুমার অন্তর্গত বিলেতা পাটান এলাকার ডুংরিওতে চকচকে পাথরের সন্ধান পাওয়ার পর সেগুলিতে রুপো থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। রসায়নবিদ ড. রামানন্দ যাদব দাবি করেছেন যে, সেগুলিতে রূপো রয়েছে। যদিও, জিওলজিক্যাল বিশেষজ্ঞদের দলই সেখানে রূপোর অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য দিতে পারবে বলেও জানান তিনি।
ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের দল সেখানকার পাথরের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করছে। এদিকে জানা গিয়েছে, এই খবর মেলার পর থেকেই ওই পাহাড় থেকে কেউ যাতে খনন করতে না পারে সেজন্য সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কারণ গ্রামবাসীরা বাড়ি তৈরির জন্য আগেই এই পাহাড় থেকে পাথর নিয়ে গিয়েছে।
রূপোর সাথে রয়েছে সীসাও: এই প্রসঙ্গে ড. রামানন্দ যাদব জানিয়েছেন, ল্যাবে এসব পাথর পরীক্ষা করার সময়ে রুপোর সঙ্গে সীসার মতো মূল্যবান ধাতুর উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। তিনি জানান, তাঁর ছাত্ররা গ্রামে চকচকে পাথরের বিষয়ে তথ্য দিয়েছিলেন এবং সেই তথ্যের ভিত্তিতে তিনি গ্রামে গিয়ে নমুনা নিয়ে এসেছিলেন। নমুনাগুলি আলওয়ার জেলার ভিওয়াদি এবং উদয়পুর ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল। উদয়পুরের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেখানে রূপোর মাত্রা উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও ভিওয়াদির রিপোর্ট এখনও আসেনি।
রাতে চকচক করে পাথর, গ্রামবাসীদের চলাচল বন্ধ: এদিকে, গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ওই পাথরগুলি সাধারণ পাথরের চেয়ে বহুগুণ ভারি এবং চকচকে। এমনকি রাতের বেলাতেও এই পাথগুলি উজ্জ্বলতার কারণে অন্যরকম দেখায়। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ওই পাথরে রূপো সহ আরও বহু মূল্যবান ধাতু থাকার কারণে এখন সেখানকার পাহাড়ে ট্রাক্টর চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এই বিষয়ে ড. রামানন্দ যাদব জানান, প্রায় এক মাস আগে তিনি এই পাথরের কিছু নমুনা ল্যাবে পাঠিয়েছিলেন। ল্যাবে পরীক্ষা করার পর সেগুলিতে ৮২ শতাংশ সিসা পাওয়া গেছে এবং ০.৮০ শতাংশ রূপো মিলেছে। এরপরে তিনি জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার টিমকে বিষয়টি জানান।
সীসা একটি বিষাক্ত ধাতু: পাশাপাশি, ড. রামানন্দ যাদব আরও জানান যে, সীসা অর্থাৎ লেড হল একটি বিষাক্ত ধাতু। এমনকি, এটি শরীরেরও ক্ষতি করতে পারে। তাই, সাধারণ মানুষের এটির কাছাকাছি যাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার দল দীর্ঘদিন ধরে আলওয়ারের আরাবল্লী পাহাড়ে তাদের সমীক্ষা চালাচ্ছে। কারণ সেখানে সোনার খনির সম্ভাবনাও প্রকাশ করা হয়েছিল। এর ভিত্তিতে ওই দলগুলি সার্ভের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। ঠিক সেই আবহে নতুন করে পাহাড়ের পাথর থেকে রূপো ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর সন্ধানের পর আলওয়ারের গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।