বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ২০০৩ সাল, সৌরভ গাঙ্গুলীর (Sourav Ganguly) নেতৃত্বে মূলত তারুণ্যে ভরপুর ভারত নেমেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন চোখে নিয়ে। কিন্তু নির্দয়ভাবে রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বে সেই স্বপ্নকে ভেঙে খান খান করে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ২০ বছর পর, ২০২৩ সালেও আইসিসি টুর্নামেন্টের নক আউট ম্যাচে নিজেদের ধারাবাহিক ব্যর্থতার ধারা কাটিয়ে টেস্ট ফরম্যাটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছিল রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) ভারত। কিন্তু স্টিভ স্মিথ, প্যাট কামিন্স, স্কট বোল্যান্ডরা এবারেও সেই স্বপ্নটাকে ভেঙে চুরমার করে দিলেন।
২০০৩ সালের সেই ফাইনালের সঙ্গে ২০২৩ সালের এই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশি ফাইনালে কিছুটা মিল খুঁজে পাচ্ছেন অনেক ক্রিকেটপ্রেমী। সেবার ওই ম্যাচের টসে জিতলেও ম্যাচে জেতা হয়নি ভারতের। এক্ষেত্রেও ঠিক একই কাণ্ড ঘটেছে বিরাট কোহলিদের সঙ্গে। দুই ক্ষেত্রেই অস্ট্রেলিয়ার আগ্রাসে ব্যাটিং প্রথমেই ম্যাচের যাবতীয় আসা শেষ করে দিয়েছিল।
সেইদিনও জোহানেসবার্গে সৌরভের টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে অত্যন্ত সমালোচনা হয়েছিল। যদিও সেই সিদ্ধান্তের স্বপক্ষেও যুক্তি ছিল। ওই বিশ্বকাপের রাউন্ড রিবন পর্যায়ে যখন অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত একে অপরের মুখোমুখি হয় তখন প্রথমে ব্যাট করেই বিশ্রী ভাবে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল সৌরভদের। সেই হারের বিষয়টি মাথায় রেখে ফাইনালে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
এবার রোহিত টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু একবার আবহাওয়ার মেঘলা ভাব কেটে যাওয়ার পর বোলাররা আর কোন বাড়তি সুবিধা পাননি এবং সেই পরিস্থিতির সম্পূর্ণ সুবিধা নিয়েছিলেন স্টিভ স্মিথ ও ট্র্যাভিস হেড। দুজনের ম্যাচের রিং টোন সেট করে দিয়েছিল। রোহিত শর্মা এই সিদ্ধান্তের পেছনে যুক্তি দেখিয়েছিলেন যে পিচটি পুরো সবুজ ছিল এবং ফাস্ট বোলাররা প্রথমে বাড়তি সাহায্য পাবেন এমনটা তার আশা ছিল। কিন্তু তেমনটা হয়নি এবং নিজের কেরিয়ারে অধিনায়ক হিসেবে প্রথমবার কোন ফাইনাল হেরেছেন রোহিত শর্মা। এর আগে অধিনায়ক হিসেবে ৫ টি আইপিএল এবং একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পাশাপাশি ভারতকে নেতৃত্ব দিয়ে ২০১৮ সালের এশিয়া কাপ ও নিহাদাস ট্রফি জিতিয়েছিলেন তিনি।
সবচেয়ে বড় যে মিল দুটি ফাইনালে মধ্যে রয়েছে তা হল ২৩৪ সংখ্যাটি। সেইবার অস্ট্রেলিয়ার ৩৫৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতীয় দলের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৩৪ রানে। আর এইবার ফাইনালে ভারতের সামনে লক্ষ্য ছিল ৪৪৪। কিন্তু রান তারা করতে নেমে কোহলি এবং রাহানে আউট হওয়ার পর ফের একবার ২৩৪ রানেই শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। কি আশ্চর্য সমাপতন, তাই না?