বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই গত ১ ফেব্রুয়ারি চলতি বছরের বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। এমতাবস্থায়, এই বাজেটে সিগারেটের উপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। যার ফলে দাম বৃদ্ধি পেতে চলেছে সিগারেটের। তবে, বিশেষজ্ঞরা মনে করছন যে সামগ্রিকভাবে এহেন সিদ্ধান্তের জেরে সিগারেটের দামের উপর খুব সামান্য প্রভাব পড়তে পারে। মূলত, বিভিন্ন কোম্পানির নানান ধরণের সিগারেটের দাম বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে সেই বৃদ্ধির পরিমান দাঁড়াতে পারে মাত্র ৭ থেকে ১২ পয়সায়।
এমতাবস্থায়, সিগারেট প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি এই অল্প দাম বৃদ্ধির ধাক্কায় খুব একটা প্রভাবিত হবে না বলেও মনে করছেন তাঁরা। অর্থাৎ বিশেষজ্ঞদের মতে, কোম্পানিগুলির লাভের মার্জিনের উপর তেমন প্রভাব পড়বে না। পাশাপাশি, ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রেও সেই পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলে অনুমান করছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সিগারেটের উপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাবের প্রসঙ্গে ১৬ শতাংশ কর বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদিকে, এহেন কর বৃদ্ধির পরেও বিভিন্ন ধরণের সিগারেটের দাম ৭ থেকে ১২ পয়সা বৃদ্ধি পেতে পারে। এমতাবস্থায়, বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী, এই বৃদ্ধির হার মোট লাভের উপর এক শতাংশের তুলনাতেও কম প্রভাব ফেলবে। এমনকি এটি কোম্পানিগুলির ট্যাক্স ক্রেডিটকেও প্রভাবিত করতে পারবে না। অর্থাৎ, এক কথায় এই শুল্ক বৃদ্ধির হার সিগারেটের দামে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না।
কবে থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে: পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বাজেটের ঘোষণার নিরিখে সিগারেটের দাম কিভাবে বৃদ্ধি হবে সেই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য সামনে এসেছে। মূলত, যেসব সিগারেটের ৭০ মিলিমিটারের বেশি কিন্তু ৭৫ মিলিমিটারের দৈর্ঘ্যের কম ফিল্টার রয়েছে সেগুলির ১,০০০ টি স্টিকের ক্ষেত্রে শুল্ক ৫৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হচ্ছে ৬৩০ টাকা। পাশাপাশি, যেসমস্ত সিগারেটের ৬৫ মিলিমিটারের বেশি কিন্তু ৭০ মিলিমিটারের দৈর্ঘ্যের কম ফিল্টার রয়েছে সেগুলির ১,০০০ টি স্টিকের ক্ষেত্রে শুল্ক ৪৪০ টাকা থেকে বেড়ে হচ্ছে ৫১০ টাকা। এমতাবস্থায়, আগামী ১ এপ্রিল থেকে এই নতুন দাম কার্যকর হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
কোন কোন জিনিসের ওপর শুল্ক বেড়েছে: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, চলতি বছরের বাজেটে সিগারেটের উপর শুল্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্যান্য জিনিসপত্রের ওপরেও কর বৃদ্ধি করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে আমদানি করা নানান যন্ত্রাংশ, কিচেন চিমনি ও ইমিটেশনের জুয়েলারি এবং ন্যাপথা ও রুপোর বারের মতো পণ্যও।