জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেছেন। সিন্ধিয়ার দল থেকে পদত্যাগ করার পরে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ছয় মন্ত্রী সহ ১৯ জন কংগ্রেস বিধায়কও বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি সোনিয়া গান্ধীর কাছে পদত্যাগ করবেন বলে চিঠি পাঠিয়েছিলেন।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে দেখা করার পরে সিন্ধিয়া তার পদত্যাগ ঘোষণা করেছিলেন। সিন্ধিয়া প্রথমে অমিত শাহের সাথে দেখা করেছিলেন, তার পরে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে দেখা করতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছেছিলেন।
আর এবার ওই ১২ জন বিধায়ক যে বেঙ্গালুরু গেছেন তারা ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি) যোগ দিতে অস্বীকার করেছেন। িতিমধ্যে ১০ জন বিধায়ক এবং দুজন মন্ত্রী যারা বেঙ্গালুরু পৌঁছেছেন, তারা বিজেপিতে যেতে রাজি নয় বলে জানা গিয়েছে। সিন্ধিয়াকে সমর্থনকারী ১৯ জন বিধায়ককে বেঙ্গালুরুতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে কংগ্রেসের সিনিয়র নেতারা ধারাবাহিকভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দাবি করছেন। তারা মেঝে পরীক্ষায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার কথাও বলছেন।আর এই পরিস্রাথিতি এখন আর চরমে উঠেছে। জনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে মধ্য প্রদেশের কমলনাথ সরকারকে কেন্দ্র করে একটা খারাপ পরিস্থিতির দেখা মিলেছে। বলা যেতে পারে একটি রাজনৈতিক অচালবস্থার দেখা দিয়েছে। তার সমাধান কোথায় এবং কিভাবে তা এখন বলা মুশকিল।
আর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং কংগ্রেস নেতৃত্বের মধ্যে মতবিরোধ কিছুদিন আগে থেকেই বাড়তে শুরু করেছিলো। আর তার পরিনতি মধ্য প্রদেশের শাসকদলে বিচ্ছেদ ও বিদ্রোহের সম্ভাবনা তীব্রতর হচ্ছে ক্রমশ।সূত্র বলছে যে, এখন এই বিধায়কদের মধ্যে ১২ জন বিজেপিতে যোগ দিতে অস্বীকার করেছেন।শেষ পর্যন্ত পার্টিতে বিভক্তি জনসাধারণ্যে পরিণত হয়েছে। আর এর থেকে সমস্যার সমাধান বের করাও ক্রমে মুশকিল হয়ে দাড়াচ্ছে। তবে এইটুকু বলা যেতে পারে এভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকেই এগোবে। তা সমাধান না করলে জটিলতা বেড়ে ভারতের রাজনীতিতে তার প্রভাব পড়বে।