দয়া ও মানবতার অপূর্ব মিশেলে তৈরি মাদার টেরেসা (mother teresa) নিজের সেবা দিয়ে বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মান নোবেল এর অধিকারীনি হয়েছেন। ১৫০০ সন্তানের লালন পালন করে এই টেরেসার সেবার ব্রতকেই এগিয়ে নিয়ে চলেছেন সিন্ধুতাই সপকল (sindhutai sapkal)। যিনি মহারাষ্ট্রের মাদার টেরেসা অভিধায় ভূষিত।
আজ আমরা আপনাকে এমন এক মহিলা সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি যিনি ১৫০০ সন্তানের জননী। এমনকি তিনি অনাথ শিশুদের খাওয়ানোর জন্য ভিক্ষাও করেছিলেন।
সিন্ধুতাইয়ের ১০ বছর বয়সে ২০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির সাথে বিবাহ হয়েছিল। তিনি বিবাহের কয়েক মাস পরে গর্ভবতী হয়েছিলেন। নবম মাসে স্বামী তাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়, পরবর্তীকালে গোয়ালে মধ্যে একটি কন্যাকে জন্ম দেন।
গৃহ হীন হওয়ার পরে, তিনি তার পেট ভরাতে ট্রেনে ভিক্ষা করতে। শুধু তা-ই নয়, পেট ভরাতে কখনও কখনও শ্মশান থেকে চিতার রুটিও খেয়েছেন তিনি।
মহিলাদের ক্ষমতায়নের উপর আয়োজিত একটি ‘শক্তি’ প্রোগ্রামে, ৭০ বছর বয়সী সিন্ধুতাই জানান, “আমার পড়াশুনার খুব পছন্দ ছিল তবে আমার মা আমাকে পড়াশুনার অনুমতি দেননি।”
বাল্যকালে বিবাহিত হয়েছেন। গর্ভবতী অবস্থায় স্বামীকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। তিনি অনেক কষ্ট সহ্য করেছিলেন এবং তারপরে অনাথ শিশুদের সেবা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
বর্তমানে আমি ১৫০০ এর বেশি অনাথের জননী। তার পালিত সন্তানেরা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার, প্রফেসর এবং আইনজীবী হয়েছেন।
ভাগ্য বিড়ম্বনা থেকে গার্হস্থ্য অত্যাচার, সিন্ধুতাই জীবনটাকে দেখেছেন কঠিন বাস্তবের পটভূমিতে। সেই উপলব্ধিই তাকে টেনে এনেছে আর্তের সেবায়৷ এমন মহিয়সীকে প্রণাম জানাতেই হয়