বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজ বিজয়া দশমী। দেখতে দেখতে কেটে গেল দুর্গাপুজোর কয়েকটা দিন। চলতি বছর মহাষ্টমী ও মহা নবমী একই দিনে পড়েছিল। তাই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী অন্যান্য বারের থেকে ১ দিন কম পুজোর দিন। তবে মহালয়ার দিন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল বাঙালির প্যান্ডেল হপিং।
সিঁদুর খেলার (Sindur Khela) রীতি
টালা থেকে টালিগঞ্জ, বালি থেকে বালিগঞ্জ, পুজোর কয়েকটা দিন রাস্তায় শুধুই জনসমুদ্র। বিজয়া দশমী মানেই একরাশ দুঃখ নিয়ে উমাকে বিদায় জানানোর পালা। বিজয়া দশমী মানে কোলাকুলি, মিষ্টিমুখ আর সিঁদুর খেলা (Sindur Khela)। ঢাকের আওয়াজ আর উলুধ্বনির সহযোগে বিজয়ার দিন বাঙালি মেতে ওঠে সিঁদুর খেলায় (Sindur Khela)।
চোখে জল আর একবুক আশা নিয়ে বিদায় জানায় ঘরের মেয়েকে। তার সাথে অপেক্ষা গোটা একটা বছরের। বিজয়া দশমীর দিন সিঁদুর খেলা (Sindur Khela) অন্যতম প্রধান একটি রীতি বাঙালি নারীদের কাছে। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয় ব্রহ্মা মানুষের জীবনের দুঃখ-কষ্ট দূর করে আনন্দে ভরিয়ে রাখেন।
আরোও পড়ুন : হাতে আর দু’ঘণ্টা! ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি শুরু কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে! আবহাওয়ার মেগা আপডেট
সিঁদুর হল ব্রহ্মার প্রতীক। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয় যে কপালে সিঁদুর পরলে সেখানে অবস্থান করেন স্বয়ং ব্রহ্মা। তাই অনেকের মতে সেই থেকেই বিজয়ার দিন সিঁদুর খেলার (Sindur Khela) প্রচলন রয়েছে। এমনকি সিঁদুর খেলাকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসাবেও বর্ণনা করা হয়েছে একাধিক জায়গায়।
গীতায় বর্ণনা করা রয়েছে কাত্যায়নী ব্রত উপলক্ষে কৃষ্ণের মঙ্গল কামনায় সিঁদুর খেলায় (Sindur Khela) মেতেছিলেন গোপিনীরা। বিজয়া দশমীর দিন বিবাহিত মহিলারা আগে বরণ করেন দেবী দুর্গাকে। সিঁদুর প্রথমে দেবী দুর্গার সিঁথি ছুঁইয়ে সেটি পরিয়ে দেন একে অন্যের সিঁথিতে। দেবী দুর্গার সিঁথি স্পর্শ করা সিঁদুরকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়।