বাংলাহান্ট ডেস্ক: দুঃসংবাদ এল বাংলা সঙ্গীত জগৎ থেকে। প্রয়াত প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী সুভাষ চক্রবর্তী (Subhas Chakraborty)। তাঁর ‘লাল পাহাড়ির দেশে যা’ গানটি আজো মুখে মুখে ঘোরে আট থেকে আশির। শনিবার বেলা ১১টা ৫৫ মিনিট নাগাদ শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান সঙ্গীতশিল্পী। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
সুভাষ চক্রবর্তীর কন্যা জানান, গত কয়েকদিন ধরে ভুগছিলেন শিল্পী। পরশু দিন হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তারপরেই শারীরিক পরিস্থিতির আরো অবনতি হয় তাঁর। শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রবীণ শিল্পী।
সোশ্যাল মিডিয়া লাইভে এসে শিল্পীর প্রয়াণের খবর দেন তাঁর মেয়ে। বাবার কথা বলতে গিয়ে হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেন তিনি। তিনি বলেন, সারা জীবন ধরে সঙ্গীত সাধনা করেছেন বাবা। প্রচুর গান লিখেছেন, গেয়েছেন। শাল, মহুয়ার গন্ধ ছাড়া নাকি ঝুমুর গাওয়া যায় না, এমনটাই মনে করতেন সুভাষ চক্রবর্তী।
বাঁকুড়ার মানুষ সুভাষ চক্রবর্তী। ১৯৫২ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পরবর্তীকালে কলকাতায় বসবাস শুরু করলেও বাঁকুড়ার প্রতি টান বরাবর ছিল। সুযোগ পেলেই পৌঁছে যেতেন নিজের জন্মস্থানে। ঝুমুর শিল্পী হিসাবে সঙ্গীত জগতে বিপুল খ্যাতি অর্জন করেছিলেন সুভাষ চক্রবর্তী।
শনিবার সন্ধ্যায় তাঁর মরদেহ নিয়ে আসা হবে রবীন্দ্র সদন চত্বরে। সেখানে শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাবেন তাঁর ভক্তরা। শিল্পীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর জন্মস্থান বাঁকুড়াতেও। সুভাষ চক্রবর্তীর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলার সঙ্গীত জগৎ। শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
শিল্পীর অসংখ্য গুণমুগ্ধদের উদ্দেশে তাঁর কন্যা জানান, নিজের লেখা শেষ গান তাঁর হাতেই দিয়ে গিয়েছেন বাবা সুভাষ চক্রবর্তী। তাঁর ইচ্ছা ছিল সেই গান যেন তিনি রিলিজ করেন। বাবার শেষ ইচ্ছা তিনি নিশ্চয়ই পূরণ করবেন, আজীবন সবাইকে গান শুনিয়ে যাবেন, কথা দিয়েছেন তাঁর কন্যা।