অমিত সরকার:
২০১৬ সালের ৩১শে আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করে “সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণ অবৈধ ছিল”। সেই ঐতিহাসিক রায়ের তৃতীয় বার্ষিকীতে দেশের সব কৃষকদে কি পরিস্থিতি কৃষি ও শিল্প একটি ফুলের দুটি পাপড়ি এবং সুখে সহাবস্থান করতে পারে।
৩১ শে আগষ্ট ২০১৬-তে সুপ্রীম কোর্টে সিঙ্গুর মামলার ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা হয়। বিচারপতি অরুণ কুমার মিশ্র ও বিচারপতি ভি. গোপাল গৌড়া-র ডিভিশন বেঞ্চ, ২০০৬ সালের জমি অধিগ্রহন অবৈধ ঘোষনা করে, টাটাগোষ্ঠীকে চাষীদের জমি ফেরত দেবার নির্দেশ দেয় এবং ১২ সপ্তাহের মধ্যে অনিচ্ছুক চাষীদের জমি ফিরিয়ে দেবার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়।
সেই ইতিহাস আবার জায়গা পেয়েছে পাঠ্যবইয়ের পাতায়। তাপসী মালিকের কথা। কৃষি আন্দোলনের কথা। পরীক্ষার খাতায় লিখবে সেদিনের লড়াইয়ের কথা।
কিন্তু আজ কান পাতলেই শোনা যায় শিল্প এর অভাব অভিযোগ এর কথা।ইচ্ছুক অনিচ্ছুক দের বিভাজন আজ আর সে ভাবে প্রত্যক্ষ হয় না।রাজনৈতিক মতবাদ, এর সেই দলিল আজ ফিকে।তবে রাষ্ট্র শক্তি এর শুভবুদ্ধির উদয়ে আবার শিল্প ফিরবে কিনা তা আমজনতার কাছে অজানা।
১৩ মে, ২০১১
রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় এল তৃণমূল কংগ্রেস।
৯ জুন, ২০১১
সিঙ্গুরের কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অর্ডিন্যান্স জারির ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধানসভায় সিঙ্গুর বিল পাশের পর সিঙ্গুরে উচ্ছ্বাস
১৩ জুন, ২০১১
বিধানসভায় ‘সিঙ্গুর বিল’ পাশ হল।
২০ জুন, ২০১১
রাজ্যপাল বিলে সই করলেন।
২১ জুন, ২০১১
সিঙ্গুরের জমি রাজ্য সরকার দখল করল।
২২ জুন, ২০১১
‘সিঙ্গুর আইন’কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে গেল টাটা মোটর্স। সরকারি নির্দেশে স্থগিতাদেশ চাইল তারা।
২৭ জুন, ২০১১
কলকাতা হাইকোর্ট টাটাদের আর্জি খারিজ করল। অর্ডিন্যান্সে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল টাটা মোটর্স কর্তৃপক্ষ।
২৮ জুন, ২০১১
সকালে জমি জরিপ শুরু হলেও, সন্ধ্যায় জমির কাগজ-পত্র হস্তান্তর হল।
২৯ জুন, ২০১১
সুপ্রিম কোর্ট সিঙ্গুরের কৃষকদের জমি ফেরত না দেওয়ার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকারকে।
৩১ অগস্ট, ২০১৬
সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়, ‘২০০৬ সালে সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণ অবৈধ’।