সিঙ্গুর (singur) ও নন্দীগ্রামের আন্দোলনই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পথ প্রশস্ত করেছিল। ইতিমধ্যেই বিদ্রোহের সুর চড়িয়ে তৃণমূল (tmc) ছেড়ে বিজেপিতে (bjp) যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এবার বিদ্রোহের সুর সিঙ্গুরেও।
সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য (মাস্টারমশাই) এর ক্ষোভ বহুদিনের। বছর দেড়েক আগে মহাদেব ধাড়া ব্লক সভাপতি হলে সেই ক্ষোভ আরো বাড়ে। মহাদেবের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে ক্ষোভ রয়েছে মাস্টারমশাই শিবিরের৷ বেচারাম মান্নার সাথেও তার দ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত।
গোবিন্দ বেচারাম ঘনিষ্ঠ। তিনি ব্লক সভাপতি হলে মাস্টারমশাইয়ের ক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করে। তিনি দল ছাড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েদেন৷ বিষয়টিতে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করলে তা আরো জটিল আকার নেয়।
গোবিন্দর বিরুদ্ধে চাল চুরি সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে মাস্টারমশাই শিবিরের। তাদের সাফ অভিযোগ ছিল, যারা সৎ তারা দলে ব্রাত্য, কিন্তু চোরেরা দলের নেতা। এর পর সভাপতি পদ থেকে গোবিন্দকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু তাতে বেঁকে বসেন বেচারাম মান্না। তিনি বিধানসভায় ইস্তফা পত্র দিয়ে দেন। এরপর অবশ্য সুব্রত বক্সীর হস্তক্ষেপে বেচারাম মান্নাকে নিরস্ত করা হয়।
যদিও রবীনবাবুর দাবি মেনে ব্লক সভাপতি সরানো হয় নি। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের কাছে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দেন মাস্টার মশাই। তিনি জানান, তিনি নেত্রীর প্রতি আস্থাশীল৷ তবে প্রতিকার না হলে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবেন৷
রবীন বাবুর বক্তব্যে ইঙ্গিত স্পষ্ট। অন্যদিকে লোকসভা ভোটে সিঙ্গুর বিধানসভায় অনেকটাই পিছিয়ে ঘাসফুল শিবির। এগিয়ে পদ্মশিবির। এরই মধ্যে এহেন ইঙ্গিত শাসকদলের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে তা বলাই বাহুল্য।