বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দই নিয়ে সেকি কাণ্ড! ব্যাগে করেই নাকি নিয়ে যাবেন। চব্বিশের লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) হুগলিতে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। দিদি নম্বর ওয়ান-কে নিয়ে বাংলার মহিলাদের আবেগ, ভালোবাসার শেষ নেই। তবে সেই দিদি ভালোবেসে ফেললেন সিঙ্গুরে (Singur) দই-কে।
ভোটের আগে হাতে মাত্র কয়েকটা দিন। তাই সব কিছু ছেড়ে এখন শুধু রাজনীতির ময়দানে। শনিবার সিঙ্গুরে প্রচারে বেরিয়েছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেড়াবেড়িতে দিন মজুর মানিক বাগের বাড়িতে দুপুরের খাওয়াদাওয়া সারবেন বলে ঠিক হয়। মানিকবাবুর মাটির বাড়ি, ওপরে টালির চাল। তার নিচেই পাত পেরে খেলেন রচনা দিদি।
দুপুরের আহার বলে কথা, মেনুও ছিল জমজমাটি। ছিল,ভাত,বড়ি ভাজা,পটল ভাজা,শুক্তো, ডাল,বেগুনি, আলু পোস্ত, চাটনি আর শেষ পাতে টক দই। আর সেই দই খেয়েই মুগ্ধ রচনা। এতটাই ভালো লেগে গেল যে বলেই ফেললেন, “এত ভালো দই এখানে। আমিতো ভাবছি ব্যাগে করে দই নিয়ে যাব। যতবার আসব, ততবার দই নিয়ে যাব। কলকাতায় টক বলে যা দেয় সেটা দই নয়, কী যে দেয়”। নিজের কথায় নিজেই হেসে লুটোপুটি।
এখানেই শেষ নয়! এরপর রচনা আরও বলেন, “সিঙ্গুরে এত ঘাস, এত গাছপালা, সেগুলো গরু খাচ্ছে। খেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হচ্ছে। ফলে যে দুধটা বেরোচ্ছে তা এত ভালো, দইটাও তাই এত ভালো।” আর রচনার এই মন্তব্য নিয়েই এবার আসরে নেমেছেন হুগলিতে যুযুধান প্রতিপক্ষ বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। লকেট বলেন, “রচনা একদম সত্যি কথাই বলেছেন। এর জন্য আমি ওকে ধন্যবাদ জানাব। সিঙ্গুরে তো গরুই চড়ছে। ঘাস পাতাই হচ্ছে। শিল্প আর হল কই? ওরা টাটাকে তাড়িয়ে ছাড়লেন তার পর থেকে ঘাস ছাড়া আর কী আছে?”
আরও পড়ুন: ‘আমরা চাকরি দিতে চাই’, ভোটের আগেই নিয়োগ নিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক!
এরপর লকেট আরও বলেন, “রচনাকে শুধু দই খেতে আর সিঙ্গুরে আসতে হবে না। আমি না হয় ওর বাড়িতে দই পাঠিয়ে দেব। নির্বাচনে জেতার পর আমি নিজে হাতে করে ওনার জন্য দই নিয়ে যাব। ওনাকে দিয়ে আসবো।’