বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) বনাম অধিকারী পরিবার দ্বন্দ্বে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। তৃণমূলের প্রায় জন্মলগ্ন থেকেই দলের সঙ্গে ছিলো এই পরিবার। তবে গত বিধানসভার আগের মুহূর্তেই বদলায় চিত্র। বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পাশাপাশি তাঁর বাবা এবং ভাইয়ের সঙ্গে সাপে-নেউলে সম্পর্ক রাজ্যের শাসক দলের আর এবার শিশির অধিকারীর (Sisir Adhikari) সাংসদ পদ খারিজের আবেদন প্রসঙ্গে আগামী ১২ ই অক্টোবর তাঁকে তলব করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla)। এর আগেও পরপর দুবার তলব করা হলেও হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থেকেছেন শিশিরবাবু। ফলে আগামী ১২ তারিখ তিনি কি করেন, সেটাই বর্তমানে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই প্রসঙ্গে মন্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন শিশির অধিকারী বলেন, “চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে কোনমতে বেঁচে রয়েছে। ওদের পরামর্শ নিয়েই প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলতে হয়। তাই চিকিৎসকরা যদি অনুমতি না দেয়, তাহলে দিল্লি যেতে পারব না।”
আবার অপরদিকে শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের আবেদন প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এর আগে দুটি শুনানিতে শিশিরবাবু আসেন নি। আশা রাখছি, ১২ তারিখ আমার মতো উনিও আসবেন।”
উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগের মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করেন শিশির অধিকারীর পুত্র তথা বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপর থেকেই অধিকারী পরিবারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ক্রমাগত চরম হয়ে ওঠে তৃণমূলের। সেই সময় অমিত শাহের সভামঞ্চে হাজির থাকতেও দেখা যায় শিশিরকে। যদিও পরবর্তীতে বিজেপিতে যোগদান করেননি শিশিরবাবু, তবে তাঁর একাধিক কর্মকাণ্ড ক্রমাগত দলের বিরুদ্ধে গিয়েছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
সম্প্রতি, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের বারণ করা সত্ত্বেও দিল্লিতে গিয়ে ভোট দেন শিশির। এরপর উপরাষ্ট্রপতি ভোটেও সেই একই কর্মকাণ্ড ঘটাতে দেখা যায় তাঁকে। অপরদিকে, বসে নেই রাজ্যের শাসক দলও। দলত্যাগ বিরোধী আইন এনে শিশিরবাবুর সাংসদ পদ খারিজ করার আবেদন জানান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই লোকসভার স্পিকার পরপর দুবার তলব করেন শিশির অধিকারীকে। তবে তৃতীয়বার তলবমাঝে শেষপর্যন্ত তিনি কি করেন, সেটাই দেখার।
যদিও অপর একটি মহলের দাবি, অমিত শাহের সভায় উপস্থিত থাকলেও বিজেপি দলের পতাকা নেওয়া কিংবা তৃণমূল কংগ্রেস দল ত্যাগ থেকে বিরত থেকেছেন শিশির অধিকারী। ফলে এক্ষেত্রে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রযোজ্য হবে না বলেই মত তাদের।