রাখি পূর্ণিমায় বোনের আবেদনে সারেন্ডার করল আট লক্ষের ইনামি নকশাল কম্যান্ডার, পরল রাখিও

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ছত্তিসগড়ের এক রাখি বন্ধন চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১২ বছর বয়সে জীবনের মূল স্রোত থেকে বেরিয়ে নকশালে  (Naxal) যোগ দেওয়া এক নকশালি স্যারেন্ডার করেছে। সারেন্ডার করার নকশালির নাম মল্লা আর তাঁর মাথার দাম ৮ লক্ষ টাকা ছিল। সুকমা জেলার নকশালি মল্লা তাঁর বোনের আবেদনে সারেন্ডার করেছে। এরপর মল্লার বোন তাঁর হাতে খুশি খুশি রাখি পরায়।

উল্লেখ্য, ১৪ বছর পর নকশাল মল্লা তামো লুকিয়ে লুকিয়ে পরিবারের সাথে দেখার করার জন্য বাড়ি পৌঁছে ছিল। সে যখন সবার সাথে দেখা করার পর চলে যাচ্ছিল, তখন তাঁর বোন ঢাল হয়ে রাস্তা রুখে দাঁড়ায়। মল্লার বোন তাঁকে পুলিশের কাছে নিয়ে গিয়ে সারেন্ডার করায়। মল্লার বোন লিঙ্গে-এর জন্য এই রাখি বন্ধন সবথেকে খুশির ছিল, কারণ সে তাঁর বড় ভাইয়ের হাতে রাখি পরানোর জন্য কয়েক বছর ধরে অপেক্ষা করছিল। নকশাল ছেড়ে জীবনের মূল স্রোতে ফেরত আসার পর লিঙ্গে তাঁর ভাই মল্লার হাতে রাখি পরায়।

ছোট বেলা থেকেই হিংসার রাস্তায় চলা রাখি পূর্ণিমার দুই দিন আগে জীবনের মূল স্রোতে ফেরত আসার পর পুলিশ কর্মীরা হাততালি দিয়ে মল্লাকে স্বাগত জানায়। এসপি অভিষেক পল্লব মল্লাকে নকশাল ছেড়ে জীবনের মূল স্রোতে ফেরত আসার জন্য শুভেচ্ছা জানায়। মল্লা জানায়, সে বর্তমানে ভেরমগড় এরিয়া কমিটির ১৩ নম্বর প্লাটুনের ডেপুটি কম্যান্ডার পদে আছে। সে অনেক বড়বড় ঘটনায় যুক্ত ছিল। বোনের ডাকার পর ১৪ বছর পর সে বাড়ি ফেরে।

মল্লা জানায়, বোন আর পরিবারকে দেখে আমার মন গলে যায়। বোনের বলার পর সে পুলিশের সামনে আত্মসমর্পণ করে। মল্লা জানায়, ১৪ বছর পর আমার হাতে রাখি পরায় বোন। আমি খুব খুশি। মল্লার বোন লিঙ্গে জানায়, ১২ বছর বয়সে মল্লা তাঁর কাকার কাছে গেছিল। কাকা নকশালের সাথে যুক্ত ছিল। আর মল্লাকেও সেখানে ঢুকিয়ে দেয়। এরপর মল্লা আর ফিরে আসে না। ১৪ বছর পর সে যখন বাড়ি ফিরে আসে, তখন বাড়ির সবাই খুশি হন। আমি তাঁকে ফেরত যেতে দিইনি আর। কারণ আমি তাঁকে এনকাউন্টারে মরতে দেখতে চাইছিলাম না। ভাইকে রাখি পরানোর জন্য এত বছর অপেক্ষা করেছি। এবার থেকে প্রতিবছর আমরা সবাই মিলে রাখি উৎসব পালন করব।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর