বাংলা হান্ট ডেস্কঃ 2024 সালে লোকসভা নির্বাচন আর তার পূর্বে কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে সরানোর জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে সকল বিরোধী দল। সামনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আর তাকেই বর্তমানে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেস সহ একাধিক দলগুলি। ইতিমধ্যে আগামী 14 ই জুন দিল্লিতে রওনা দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরের দিন অর্থাৎ 15 ই জুন একাধিক বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে একটি বৈঠকে বসার আহ্বান দিয়েছেন তিনি। উদ্দেশ্য একটাই, বিজেপি বিরোধী জোট গড়ে তোলা। অবশ্য এদিন কমিউনিস্ট পার্টির নেতা সীতারাম ইয়েচুরির বক্তব্য বিরোধী জোটের স্বপ্নে একপ্রকার জল ঢেলে দিল। কি বলেছেন তিনি?
উল্লেখ্য, আগামী 15 ই জুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রসঙ্গে বিরোধী দলের মোট 22 জন নেতাকে নিয়ে একটি বৈঠক করার আহ্বান দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল মহারাষ্ট্র মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, কেরল এবং তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীসহ স্ট্যালিন, হেমন্ত সোরেন এবং সদ্য পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসা ভগবন্ত মানকেও আহ্বান জানান মমতা। মনে করা হচ্ছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পূর্বে সকল বিরোধী জোটকে একসঙ্গে নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার উদ্দেশ্যেই তাঁর এই বৈঠক।
তবে অতীতেও একাধিকবার বিরোধী জোটকে বিভিন্ন কারণে ভাঙতে দেখা গিয়েছে। এক্ষেত্রে, এদিন সীতারাম ইয়েচুরির বক্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী জোটের স্বপ্নে এক প্রকার জল ঢেলে দিল। এদিন সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, “আমি বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, আগামী 15 ই জুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে একটি বৈঠকের আহ্বান করছেন। আমাকেও নাকি সেখানে উপস্থিত থাকার জন্য চিঠি পাঠাবেন। তবে আচমকা এরকমভাবে কোনো বৈঠক আয়োজন করা উচিত নয়। এতে বিরোধী জোটের ক্ষতি হয়। প্রতিটি বৈঠক পূর্বপরিকল্পিত আলোচনার মাধ্যমে ঘোষণা করা উচিত। এরকমভাবে একতরফা কোনো ঘোষণা করা ঠিক নয়।”
এক্ষেত্রে শুধু সীতারাম ইয়েচুরি নয়, কমিউনিস্ট পার্টির মহাসচিব টি রাজাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন পদক্ষেপের বিরুদ্ধাচারণ করেন। তিনি বলেন, “একতরফাভাবে এই বৈঠক আয়োজন করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এইভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া আসলে যেকোন বিরোধী জোটের পক্ষে ক্ষতিকারক। পূর্বে সকলকে সঙ্গে নিয়ে একটি আলোচনা করা উচিত ছিল, কিন্তু তা করা হয়নি।” ফলে সীতারাম ইয়েচুরি এবং টি রাজার মন্তব্য বিরোধী জোটকে ফের একবার ধাক্কা দিল বলে মত বিশেষজ্ঞদের।