বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্য পুলিশের কাছে বাধা পেয়ে দুদিন আগেই ট্রেনে চড়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) পৌঁছে যান অশান্ত রিষড়ায়। এরপর লকেট চট্টোপাধ্যায়কে স্টেশনের মধ্যেই আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের বাধা পেয়ে স্টেশনে বসে যান তিনি। বিজেপি (Bharatiya Janata Party) সাংসদ (Member of Parliament) লকেট চট্টোপাধ্যায় হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার যাচ্ছিলেন বাঁশবেড়িয়া।
কিন্তু পুলিশ তার যাত্রা পথে বাধার সৃষ্টি করে। বাধা পেয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় বিজেপি কর্মীদের সাথে নিয়ে বসে যান রাস্তায়। এরপর শুরু করেন হনুমান চালিশা পাঠ (Hanuman Chalisha)। হুগলি লোকসভার অন্তর্গত বাঁশবেড়িয়া। সংসদ হিসেবে নিজের এলাকায় ঢুকতে না পারায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন লকেট। বিজেপি সাংসদের বাগ- বিতন্ডা শুরু হয় পুলিশের সাথে।
যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে লকেটের রাস্তায় বসে হনুমান চালিশা পড়াকে নাটক বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। তৃণমূলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, “স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে হাইকোর্টের। তারপরেও তিনি ওই এলাকায় গিয়ে অশান্তি করার চেষ্টা করছেন। এসব নাটক। সংবাদমাধ্যমের নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছেন শুধু।”
বাঁশবেড়িয়া যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করে লকেটের উদ্দেশ্যে পুলিশ বলে, “আপনি অন্যদিন আসবেন। প্লিজ আজ যাবেন না।” পাল্টা লকেট বলেন, “একজন সাংসদকে তার নির্বাচনী এলাকায় ঢুকতে বাধা দেওয়া যায় না। বছরে একবার হনুমান জয়ন্তী আসে।” এরপর বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রাস্তায় বসে লকেট চট্টোপাধ্যায় শুরু করেন হনুমান চালিশা পাঠ।
এদিকে হনুমান জয়ন্তীকে ঘিরে যাতে কোনও অশান্তি না হয় সেটা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তারই নিরিখে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়ে হুগলিতে। বিভিন্ন এলাকায় রুটমার্চ করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। কোথাও যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না হয় সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়।