বাংলা হান্ট ডেস্ক : উফ যা ওজন বাড়ছে তাতে প্রিয় খাবার গুলিকে বাই বাই বলতে হচ্ছে। খাবার দাবারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঘুম কেউ কমিয়ে দিতে হচ্ছে, চিন্তায় যেন ঘুম উড়ে যাচ্ছে। কারণ মোটা হলেই যে ওজন বেড়ে যাবে! তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্য কথা আপনার রাতের ঘুমের মধ্যেই নাকি রয়েছে ওজন কমানোর চাবিকাঠি। তাই মোটা হওয়ার চিন্তায় ঘুম উড়িয়ে দেওয়া নয় বরং মন ভরে ঘুমান।
সম্প্রতি একদল গবেষক তাঁদের সমীক্ষার মাধ্যমে পাওয়া তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন যেখানে তাঁরা বলেছেন আমাদের ঘুমের মধ্যে বেশ কিছু শারীর বৃত্তীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় যার মধ্যে সেল রিপেয়ার ও গ্রোথ বৃদ্ধি পায়, এবং শরীরে ক্যালরি বার্ন হয়ে যায়। আর এতে ওজন অনেকটাই কমে তবে অবশ্যই সঠিক পদ্ধতি মেনে ঘুমানো উচিত। কারণ আপনার সঠিক ঘুমানোর মধ্যেই ক্যালোরি বার্ন সম্ভব হয়। তবে বেশ কয়েকটি পদ্ধতি মেনে ঘুমান, আর সেই পদ্ধতিগুলো হল-
1. নির্দিষ্ট ও পর্যাপ্ত সময় ধরে ঘুমান- অনেকেই আছেন মোটা হয়ে যাবার ভয়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা রাত্রেবেলা ঘুমান কিন্তু একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তির কম করে ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। তা না হলে শারীরিক ক্লান্তি দূর হয় না। আর ঘুম না হলে শরীরের কোষগুলি তাদের কার্যক্ষমতা হারিয়ে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যার জন্য ওয়েট বেড়ে যায়।
2. অন্ধকারে ঘুমান- ঘুমানোর সময় আলো জেলে নয় বরং ঘরের আলো বন্ধ করে দিন এতে মস্তিষ্ক যেমন বিশ্রাম পায় ঠিক তেমনই মেলাটোনিন হরমোন ঠিকঠাক ক্ষরণ হয় যার ফলে শরীরে ওজন কম খায়।
3. ঘরের তাপমাত্রা বজায় রাখুন- খুব ঠাণ্ডা শরীরের পক্ষে ভাল নয় এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে এবং ঠিকঠাক ঘুম না হলে মেলাটোনিন উত্পন্ন হয় না তাই ঘরের তাপমাত্রা সর্বদা 19 ডিগ্রি করুন এতে ক্যালরি বার্ন সম্ভব হবে এবং ওজন কমে যাবে।
4. ঘুমের সময় ইলেকট্রনিক যন্ত্র থেকে দূরে থাকুন- মোবাইল ট্যাব ল্যাপটপ এসব থেকে নীল রশ্মি বেরোয় যা চোখেরও ক্ষতি করে তাই ঘুমের মধ্যে কখনোই এগুলি অন করে রাখবেন না। এতে মেলাটোনিন উ পন্ন কমে যায় এবং শরীরের ওজন লাগাতার হারে বেড়ে যায়।