বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নানা জটে দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে নিয়োগ (Recruitment)। যার জেরে রাজ্যের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। বারে বারে চাকরিপ্রার্থীরা কাঠগড়ায় তুলেছে রাজ্য সরকারকে। তবে এক্ষেত্রে বুমেরাং। চাকরি দিতে রাজ্যের ভূমিকা সদর্থক হলেও আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর (Bikash Ranjan Bhattacharya) জন্যই কর্মশিক্ষা-শারীরশিক্ষা বিভাগে নিয়োগ সম্ভব হল না, কলকাতা হাই কোর্টে নিয়োগের জট কাটল না। এমনই অভিযোগ তুললেন বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী।
বিকাশের উপর ক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা- Bikash Ranjan Bhattacharya
আসলে ২০১৬ সালের SLST-র মাধ্যমে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের প্যানেল তৈরি হয়েছিল। যার মধ্যে অধিকাংশ চাকরিপ্রার্থীই নিয়োগপত্রও হাতে পেয়ে গিয়েছিলেন। এরপরই হয় বিপত্তি। গুটি কয়েক অযোগ্য প্রার্থী মামলা করায় গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াই এখনও আটকে রয়েছে।
যেহেতু সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন তাই উচ্চ আদালতেও জট কাটছে না। কর্মশিক্ষা-শারীরশিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগের জন্য শূন্যপদ তৈরি হয়েছিল। পর্ষদও হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, নিয়োগের প্যানেল বৈধ। কিন্তু নিয়োগ সম্ভব হচ্ছে না। নিয়োগ পাওয়া যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের কথায়, তাদের নিয়োগের পথে বারংবার বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সহ তার জুনিয়রা।
গতকাল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই সংক্রান্ত মামলা শুনানির জন্য ওঠে। সেখানেই তাদের দাবি ছিল, “যেহেতু মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন সেখানে শেষ না হওয়া পর্যন্ত হাই কোর্টের এই মামলার শুনানির উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক।” বলা হয়, “রাজ্যের দুই আদালতে ভিন্ন অবস্থান। সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে সুপ্রিম কোর্টের একরকম বলা হচ্ছে। আর হাই কোর্টে আরেক রকম। দুর্নীতি করে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়।”
এদিকে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল পাল্টা বলেন, “এনিয়ে হাই কোর্টে জোড়া হলফনামা জমা দেওয়া রয়েছে। একটা মেমো নম্বর ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে এই মামলার কোনও সম্পর্ক নেই।” রাজ্য সরকারের ভূমিকায় সন্তুষ্ট হয়ে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ বলেন, “রাজ্য সরকার ও এজি-কে ধন্যবাদ। তারা যথেষ্ট করেছেন। আগামী ১০ তারিখ সুপ্রিম কোর্টে মামলা আছে। এখন রায়ের অপেক্ষা।”
আরও পড়ুন: সব চিন্তা শেষ! এবার বাড়ি তৈরি নিয়ে নয়া সিদ্ধান্তের পথে কলকাতা পুরসভা, ‘সুখবর’ দিলেন মেয়র
বিকাশবাবুর ভূমিকায় ক্ষোভ উগরে দিয়ে তারা বলেন, “অযোগ্য প্রার্থীদের হয় মামলা করে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যই বারবার এই নিয়োগে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের মামলার সঙ্গে এই মামলার একটা মেমো নম্বর ছাড়া এর সঙ্গে কোনো যোগ নেই। এর কোনও তদন্ত চলছে না।” আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।