ভারতের সর্বকনিষ্ঠা IAS স্মিতা সবরওয়ালের উচ্চমাধ্যমিক মার্কশিট ভাইরাল, কত নম্বর পেয়েছিলেন?

IAS স্মৃতি সবরওয়ালের নাম প্রায় প্রত্যেকেই জানেন। ভারতের সর্বকনিষ্ঠা আইএএস অফিসার তিনি। মাত্র ২৩ বছর বয়সেই, স্মিতা সবরওয়াল (Smita Sabharwal) এমন একটি কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন যা অনেকেই শুধুমাত্র স্বপ্নে দেখেন। ২০০০ সালে অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক UPSC পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অর্জন করেছিলেন তিনি। তারপর তাঁর নামটি রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

কিন্তু, এই বিখ্যাত ভারতীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তার অসাধারণ সাফল্যের নেপথ্যের গল্পটি জানেন? স্মিতা সবরওয়ালের (Smita Sabharwal) অ্যাকাডেমিক যাত্রা বেশ অনুপ্রেরণাদায়ক। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং-এ একটি বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণকারী স্মিতা। তাঁর বাবা কর্নেল প্রণব দাস এবং মা পূরবী দাস। স্মিতার প্রাথমিক শিক্ষার প্রশিক্ষণ শুরু হয় হায়দ্রাবাদে। যেখানে তিনি সেকেন্দ্রাবাদের সেন্ট অ্যানস হাই স্কুলে পড়াশোনা করতেন।

   

Smita Sabharwal

UPSC পরীক্ষায় সর্বভারতীয় চতুর্থ র‌্যাঙ্ক অর্জন করেছেন স্মিতা সবরওয়াল (Smita Sabharwal)

স্মিতার সাফল্য শুরু হয়েছিল প্রথম দিকেই। ক্লাস টুয়েলভে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় তাঁর নম্বর নজর কেড়েছে গোটা ভারতবাসীর। তাঁর ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স দেশব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে স্মিতা ১৯৯৫ সালের CISCE ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় ইংরাজি এবং হিন্দি উভয় ক্ষেত্রেই ১০০ এর মধ্যে ৯৪ নম্বর পেয়েছিলেন। অর্থনীতিতে ১০০-এর মধ্যে ৯০ নম্বর পেয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় তাঁর প্রথম প্রচেষ্টাতেই একটি প্রাথমিক ধাক্কা লাগে। তার সত্ত্বেও, স্মিতার অটল সংকল্প তাঁকে দেখেছিল সাফল্যের পথ। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায়, তিনি শুধুমাত্র UPSC পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি বরং একটি সর্বভারতীয় চতুর্থ র‌্যাঙ্ক অর্জন করেছেন। মাত্র ২২ বছর বয়সে তাঁর এই কৃতিত্ব তাঁকে ভারতের সর্বকনিষ্ঠ IAS অফিসারদের একজন করে তুলেছে। এছাড়াও, তিনি তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে নিযুক্ত হওয়া প্রথম মহিলা আইএএস অফিসার হয়ে উঠেছেন।

Pousali Chakraborty
Pousali Chakraborty

সংবাদের প্রতি টানে ব্রেকিংয়ের দুনিয়ায় পা দেওয়া পৌষালীর। দর্শন নিয়ে স্নাতকে এগোলেও পরবর্তী পথ চলাটা খবরের দিকে ঘুরে যায়। জীবনে আসে যাদবপুর থেকে পড়ার অল্প সময়ের সুযোগ। টলিপাড়ায় উঁকি দেওয়া থেকে বাইশ গজের পিচে কার ঝুলিতে কত রান, দুই দিকেই নজর ঘোরাতে ভালোবাসেন পৌষালী। পর্দার অনুষ্কা-মাঠের বিরাট দু'জনের খবর সমান তালে রাখার চেষ্টা করে। অবসর সময় কাটে নাচ, বই, ম্যাগাজিনে চোখ বুলিয়ে।

সম্পর্কিত খবর