বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনের আগে স্কুটি চালানো নিয়ে একে অপরকে কটাক্ষ করতে শুরু করে তৃণমূল (tmc) ও বিজেপি (bjp)। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) ই স্কুটি চালিয়ে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদকে পরোক্ষে কটাক্ষ করেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া পায়েল সরকার। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির (smriti irani) প্রসঙ্গ তুলে গেরুয়া শিবিরকে পালটা তোপ দাগলেন সায়নী ঘোষ (sayani ghosh)।
সম্প্রতি স্মৃতি ইরানিকেও এ রাজ্যে প্রচারে এসে স্কুটি চালাতে দেখা যায়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সেই ছবি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির কোলাজ নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে শেয়ার করেন সায়নী। ক্যাপশনে লেখেন, ‘আপনার সবথেকে বড় সমালোচকরাই শেষমেষ আপনাকে নকল করবে।’ সঙ্গে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখেন, ‘বাংলা পথ দেখায়’।
অতি সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় আরো কয়েকজন টলিউড তারকার সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেন সায়নী। রাজ্যে বিজেপির আসা আটকাতেই সবুজ শিবিরে যোগ দিয়েছেন তিনি, এমনটাই জানান সায়নী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে অভিনেত্রী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন যথার্থ লিডার। বাংলায় বিজেপির আসা যদি কেউ আটকাতে পারে তাহলে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু বছর আগে যখন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছিলাম তখন বাংলায় সহিষ্ণুতা ছিল। এখন সেটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বাংলার মেয়েদের কাছে এখন কঠিন সময়।”
সায়নী আরো বলেন, “এতদিন যারা দলে থেকে সমস্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন তারাই এখন দল ছেড়ে যাচ্ছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মহিলা বলে তাঁকে কোণঠাসা করে দেওয়া হচ্ছে।” রুদ্রনীল ঘোষের পর যশ দাশগুপ্তও যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। রুদ্রনীল অভিযোগ করেছেন টলিউডে মাফিয়ারাজ চলছে।
এই প্রসঙ্গে সায়নী বলেন, “এখন যারা বলছেন দলে থেকে কাজ করতে পারছিলেন না তাদের এই কথা বলার আগে দুবার ভাবা উচিত। এরা সকলেই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন এতদিন। তাই সেখানে মাফিয়ারাজ চলছে বলাটা ভুল হবে। যারা কাজ জানেন তারা কাজ পাবেন। ইন্ডাস্ট্রিতে লবি রয়েছে। পরিচালক কোন অভিনেতা অভিনেত্রীকে নেবে তা নিয়ে লবি হয়। অভিনেতাদের পছন্দ মতো অভিনেত্রীদের নেওয়া হয়। সেটা আলাদা। কিন্তু কাজ করা যাচ্ছে না তা ভুল।”