বাংলাহান্ট ডেস্ক : বীরভূমের (Birbhum) ময়ূরেশ্বরের দাসপলসা গ্রামপঞ্চায়েতের মণ্ডলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (Primary school) সোমবার মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) বালতিতে পাওয়া গেলো একটি সাপ (Snake)। এর আগে প্রায় একই ঘটনা ঘটে মেদিনীপুরের একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অঞ্চলে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার মানুষ। বিদ্যালয়ের এই ঘটনার জেরে অভিভাবকরা প্রবল ক্ষিপ্ত হন এবং তাঁরা প্রধান শিক্ষককেও আটকে রাখেন। এরপরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মিডডে মিলের ওই রান্না খেয়ে বাচ্চারা বমি করতে শুরু করে। তাই বিদ্যালয়ের ছাত্রদের শরীর ঠিকঠাক আছে কীনা তা জানার জন্য তাদের রামপুরহাট হাসপাতালে পাঠানো হয়। অঞ্চলের সাধারণ মানুষের বক্তব্য ছিল এই স্কুলে মিড ডে মিলের পরিচারিকারা যা রান্না করতেন তা অনেক সময় ঢাকা দিতে ভুলে যেতেন এবং আজও হয়তো তাঁরা ঢাকা দিতে ভুলে গেছেন আর তাই কোনো কারণে সাপটি রান্নার মধ্যে পড়ে যায়।
রামপুরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আসা বংশীধর সরকার নামের এক এলাকাবাসী জানান যে, ওই রান্না বা ডালের মধ্যে সাপটি পড়ার পরেও তাঁরা সেই ডালটিকে বাচ্চাদের খাওয়ান এবং তাঁর ফলেই বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং বমি করতে শুরু করে। তারপরেই তিনি বাচ্চাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন কারণ তিনি চান এই সকল বাচ্চা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক। একই সঙ্গে তিনি দাবী করেছেন যে, “স্কুলটির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার”। পাশাপাশি কী করে কোনো স্কুল তার বাচ্চাদের ঢাকাবিহীন অবস্থায় রাখা কোনো খাবার সরবরাহ করতে পারে সেই বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
সুধাংশু বাগদি নামের এক অভিভাবক জানিয়েছেন যে, তাঁর ছেলে এই স্কুলের ছাত্র এবং রান্না করার সময় বা খাবার না ঢাকা দেওয়ার জন্য রান্নার বালতিতে চিতি সাপ পড়ে এবং সিদ্ধ হয়ে যায়। সেই রান্না খেয়ে বহু বাচ্চা সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়ে। খোঁজ পাওয়ার পরেই তাঁরা সকলে রামপুরহাট হাসপাতালে ছুটে আসেন। এই স্কুলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি তিনিও তুলে ধরেন।