বাংলাহান্ট ডেস্ক : আসি আসি করে অবশেষে এসেছে বর্ষা (Rainy Season)। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বর্ষার আগমন হলেও সেভাবে হচ্ছে না বৃষ্টি। ফলে গরমের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না দেশবাসি। পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) অবস্থা একেবারেই নাজেহাল। তীব্র গরমের দাবদাহে নাভিশ্বাস উঠছে দক্ষিণ বঙ্গবাসীর। মাঝেমধ্যে হালকা বৃষ্টির দেখা মিলছে উত্তরবঙ্গে। তবে বর্ষাকাল একদিকে যেমন স্বস্তির তেমনই কিন্তু আতঙ্কের। এই সময় উপদ্রব বাড়ে সাপেদের (Snake)। তাই ঘরোয়া উপায় (Home Remedies) সাপ দূর করাতে মেনে চলুন বেশ কিছু নিয়ম।
বর্ষাকাল মানেই পোকামাকড়ের আগমন। বাড়ির আশেপাশে যদি একটু গাছগাছালি বেশি থাকে তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। ছাদে থাকা টবে বৃষ্টির ফোঁটা পড়লে তা দেখার আনন্দ যেমন রয়েছে বর্ষাকালে, ঠিক তেমনই সেই টবে সাপ লুকিয়ে থাকার আতঙ্কও কিন্তু রয়েছে।
তবে জানেন কি খুব সহজেই ঘরোয়া উপায়ে সাপ তাড়ানো যায়। আজকের এই প্রতিবেদনে জানাবো সেই বিষয়ে। তাই সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন আমাদের এই বিশেষ প্রতিবেদন।
সাপ তাড়ানোর মোক্ষম দাওয়াই হল কার্বলিক অ্যাসিড। বাড়ির আশেপাশে যদি এই অ্যাসিড ছড়িয়ে দেন তাহলে আনাগোনা কমবে সাপের। অনেকের মতে, রাতের অন্ধকারে পায়ে জোরে জোরে শব্দ করে চললেও নাকি সাপের আনাগোনা কমে (যদিও এটা কেবলমাত্র একটা শ্রেণীর মানুষের ধারণা। এর কোনো বাস্তবতা আছে কিনা সে সম্পর্কে জানা নেই)।
সাপের আনাগোনা কমাতে ব্যবহার করতে পারেন সালফারের গুঁড়ো। আসলে এটি সাপের চামড়ায় জ্বালা ধরিয়ে দেয় তাই সেদিকে এগোয় না সাপ। ব্যবহার করতে পারেন থেঁতো করা রসুন। প্রথমে রসুনটিকে ভালো করে বেটে তার সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে সরষের তেল। এরপর একদিন সেই মিশ্রণ রেখে দিতে হবে ঘরে। তারপর বাড়ির চারিপাশে ছিটিয়ে দিতে হবে এটি। এতে সাপ এবং পোকামাকড়ের আনাগোনা কমবে।
ব্যবহার করতে পারেন ন্যাপথলিনের গুঁড়ো। এছাড়া বাড়ির আশেপাশে যদি জমা জল থাকে তাহলে সেই জলে ফেলে দিন একটু ভিনিগার। পচা পিঁয়াজ বেটে তা বাড়ির আশেপাশে ছড়িয়ে দিতে পারেন। পেঁয়াজের উগ্র গন্ধে আশেপাশে ঘেষবে না সাপ। এছাড়াও গোল মরিচ বা লঙ্কার গুঁড়োর সঙ্গে লেবুর রস সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন ।