বাবার মৃত্যুর পর তাঁর স্বপ্ন পূরণ, এখন ভারতীয় দলের ‘সংকটমোচক’ হয়ে উঠেছেন মহিলা ক্রিকেটার স্নেহ রানা

Published On:

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল একদিনের ক্রিকেটের বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে জয় দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে। মিতালি রাজের নেতৃত্বে ভারতীয় দল রবিবার পাকিস্তানকে ১০৭ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে তাদের প্রথম জয় তুলে নেয়। তবে, এই জয় ভারতীয় দল খুব সহজে পায়নি এবং এক সময় পাকিস্তানি বোলারদের সামনে রীতিমতো বেকায়দায় পড়ে গিয়েছিল ভারতীয় ব্যাটিং লাইন-আপ। কিন্তু এর পরে স্নেহ রানা এবং পূজা ভাস্ত্রকার একসঙ্গে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ভারতকে বাঁচিয়েছেন।

স্নেহ তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দিয়ে এই ম্যাচে ভারতের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। অর্ধশতরানের পাশাপাশি তিনি দুটি উইকেটও তুলে নেন তিনি। ২৮ বছর বয়সী স্নেহ রানার এটি প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচ ছিল এবং তিনি তার প্রথম ম্যাচেই সবাইকে মুগ্ধ করেছিলেন। ভারতীয় অলরাউন্ডার প্রথমে পূজা ভাস্ত্রকারের সাথে সপ্তম উইকেটে ৯৬ বলে ১২২ রানের রেকর্ড গড়া জুটি গড়েন এবং শেষপর্যন্ত ৪৮ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। পরে বোলিংয়েও ৯ ওভারে মাত্র ২৭ রানে দুই উইকেট নেন তিনি।

উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের বাসিন্দা স্নেহ রানা আজ ভারতের হয়ে মাঠে নামলেও তার কেরিয়ার এবং জীবন উত্থান-পতনে পূর্ণ ছিল। স্নেহ ভারতের হয়ে ২০১৪ সালে একদিনের ফরম্যাটে তার আন্তর্জাতিক অভিষেক করেন। কিন্তু তারপর চোটের কারণে কিছু সময়ের জন্য তিনি দল থেকে ছিটকে যান। প্রায় ৮ বছর আগে সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলা শুরু করেন তিনি। কিন্তু ২০১৬ সালের পর দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার আগে রানা খেলেছেন মাত্র সাতটি ম্যাচ।

জাতীয় দলে ফিরে অভিষেক টেস্টেই অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে দিয়ে প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচকে ড্র করিয়ে সবাইকে চমকে দেন রানা। সেবার তিনি আট নম্বরে ব্যাট করার সময় অপরাজিত ৮০ রান করেন এবং তানিয়া ভাটিয়ার সাথে নবম উইকেটে রেকর্ড ১৪৪ রানের জুটি গড়েন। এছাড়া ম্যাচের প্রথম ইনিংসে চার উইকেটও নেন তিনি। এরপর আর তাকে পেছন ফিরে দেখতে হয়নি।

কিন্তু দুঃখের ব্যাপার যে তার উত্থানের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন সেই বাবাই তাকে টেস্ট ক্রিকেটার হিসাবে দেখে জেতে পারেননি। ১৬ই জুন ২০২১ তারিখে ব্রিস্টলে অনুষ্ঠিত টেস্ট ম্যাচের প্রাক্কালে, তিনি দলের জাতীয় জার্সি হাতে বাবাকে স্মরণ করেছিলেন। সেই ইংল্যান্ড সফরের জন্য দল ঘোষণার দুই মাস আগে তার বাবা মারা গিয়েছিলেন।

X