বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: বৃথা গেল রিঙ্কু সিং, শ্রেয়স আইয়ারদের মরিয়া লড়াই। চলতি আইপিএলে প্লে অফ অভিযান শেষ হয়ে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। ডি কক এবং লোকেশ রাহুলের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের পর মহসিন খানের দুরন্ত বোলিংয়ে ভর করে শীর্ষ দুইয়ে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করলো লোকেশ রাহুলরা।
বুধবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের মরণ বাঁচন ম্যাচে যেন রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলায় মাতলেন লখনউ সুপারজায়ান্টসের ওপেনার কুইন্টন ডি কক। নাইটদের বিরুদ্ধে লখনউ সুপার জায়ান্টসের দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক এবং লোকেশ রাহুল ২১০ রানের অবিচ্ছেদ্য ওপেনিং পার্টনারশিপ গড়ে ইতিহাস রচনা করেছেন। ইনিংসের শুরুতে ১২ রানে ব্যাটিং করার সময় ডি ককের ক্যাচ ফেলেছিলেন আজকের ম্যাচে অভিষেক করা অভিজিৎ তোমার, যার খেসারত গোটা ইনিংস জুড়ে ভুগতে হয়েছে নাইটদের।
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্পোর্টস কমপ্লেক্সে কেকেআর বোলারদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন ডি কক। তাকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন লোকেশ রাহুল। আইপিএল টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথমবার এমন হলো যখন প্রথম ইনিংসে ওপেনিং জুটি গোটা ২০ ওভার জুড়ে ব্যাটিং করে যায়। ডি কক তার ৭০ বলে ১৪০ রানের ইনিংস খেলার সময় মারেন ১০টি ছক্কা এবং ১০টি চার মেরেছিলেন। রাহুল ধৈর্যশীল ৫১ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলার সময় ৪টি ছক্কা ও ৩টি চার মেরেছেন। যার জন্য ২০ ওভারে ২১০ রানের স্কোর প্রথম ইনিংসে খাঁড়া করে লখনউ। কোনও কেকেআর বোলারই কোনোরকম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি।
ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ দুই ওপেনার ভেক্টটেশ আইয়ার ও অভিষেককারী অভিজিৎ তোমার। দুজনকেই আউট করেন তরুণ মহসিন খান। ৩ এবং ৪ নম্বরে নেমে নীতিশ রানা ও শ্রেয়স আইয়ার পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন। ২২ বলে ৪২ করে রানা কৃষাপ্পা গৌতমের শিকার হন। নিজের অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করা মাত্র স্টোইনিসের শিকার হন শ্রেয়স। স্যাম বিলিংসকে ৩৬ রানে ফেরান রবি বিশ্নই। রাসেল আজ ব্যর্থ। ১১ বলে ৫ রান করে মহসিন খানের শিকার হন রাসেল। এরপর প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়া টার্গেট চেজ করে ফেলেছিলেন রিঙ্কু সিং এবং সুনীল নারায়ণ। একসময় হাতের বাইরে চলে যাওয়া ম্যাচের শেষ দুই বলে ৩ রান করতে হতো কেকেআরকে। এইসময় ১৪ বলে ৪০ করা রিঙ্কু সিংকে দুরন্ত ক্যাচে ফেরান ইভিন লুইস। মাত্র ২ রানের ব্যবধানে হারতে নয় নাইটদের। ৭ বলে ২১ করে অপরাজিত থাকেন নারায়ণ। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে লখনউয়ের জয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন মহসিন।