বাংলাহান্ট ডেস্ক: কাজের ফাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় টুকটাক ঢুঁ মারতে ভালবাসেন? তাহলে ‘নন্দিনী দিদি’কে (Nandini Didi) নিশ্চয়ই চিনবেন। অন্তত নাম শুনেই থাকবেন। ফুড ভ্লগিংয়ের ভিডিও মানেই এখন নন্দিনী দিদি। ডালহৌসির অফিস পাড়ায় এক চিলতে ভাতের হোটেল চালানো এই মডার্ন যুবতী এখন সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন। আর সেখান থেকে এবার তিনি চলে এলেন ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’এও (Didi Number One)।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কে কখন ভাইরাল (Viral) হয়ে যায় তা বোঝা কারোর কম্ম নয়। বুঝতে পারেননি ‘নন্দিনী দিদি’ও। তাঁর আসল নাম অবশ্য মমতা গঙ্গোপাধ্যায়। পরিচয় অফিস পাড়ার এক ভাতের হোটেলের মালকিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল নন্দিনী দিদির নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠবে জিন্স টপ পরা এক আধুনিকা যুবতী। হাতে রিস্টওয়াচ, গলায় ঝোলানো ব্লু টুথ হেডফোন।
এই নন্দিনী দিদিই একা হাতে সামলান অফিস পাড়ার ভিড়। নিপুণ হাতে থালায় বেড়ে দেন ভাত, ডাল, তরিতরকারি। ফুড ভ্লগারদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে মাঝেমধ্যে মেজাজ হারাতেও দেখা যায় তাঁকে। তবে ভাইরাল হতে না হতেই তিনি যে দিদির মঞ্চে আসার সুযোগ পেয়ে যাবেন তা ভাবতে পারেনি অনেকেই।
দিদি নাম্বার ওয়ানের মঙ্গলবারের পর্বে খেলতে এসেছিলেন মমতা ওরফে নন্দিনী। হালকা সবুজ রঙের শাড়ি আর লাল ব্লাউজে বেশ সুন্দরীই দেখাচ্ছিল তাঁকে। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে নিজের লড়াইয়ের গল্প তুলে ধরেন মমতা। শিক্ষিতা সুন্দরী মমতার কাহিনি শুনে অবাক দর্শকরাও।
এমবিএ পড়েছেন তিনি। বেঙ্গালুরুতে কর্মরতা ছিলেন। কিন্তু এদিকে লকডাউনের সময়ে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায় মমতার বাবার। তখনি অফিস পাড়ায় একটি ভাতের দোকান খোলেন তিনি। স্বামী স্ত্রী মিলে চালাচ্ছিলেন দোকান এবং সংসার। তখনি ফের এক অঘটন। অসুস্থ হয়ে পড়েন মমতার মা।
সে সময়েই বেঙ্গালুরুর চাকরিতে কয়েক দিনের ছুটি নিয়ে কলকাতায় আসেন মমতা। দোকানের কাজ সামলাতে পাকাপাকি ভাবেই ছেড়ে দেন চাকরি। সেই থেকে বাবা মেয়ে মিলেই চালাচ্ছেন ভাতের দোকান। ভাত, ডাল, সবজি, মাছ, চিকেন, মাটন পাওয়া যায় সবই। দাম শুরু ২০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।
ইতিমধ্যেই অবশ্য ট্রোল হওয়া শুরু হয়ে গিয়েছেন মমতা। মাত্র দুদিনে ভাইরাল হয়েই দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে চলে গেলেন! এদিকে কত অভাবী মেয়েরা চেষ্টা করেও যেতে পারছে না, বক্তব্য নেটিজেনদের। তবে মমতা জানেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন হুট করে ভাইরাল হওয়া যায়, তেমনি হঠাৎ করেই মানুষ ভুলেও যায়। তাঁর খ্যাতিও চলে যাবে হুট করেই। তবে লড়াই ছাড়বেন না তিনি।