গরম পরতে না পরতেই অনেকে ইতিমধ্যে ফিরজে এনে রেখেছেন সফট ড্রিঙ্কস। তার মধ্যে স্কোয়াশ, ফলের রস এবং কোল্ড ড্রিঙ্কস এসব কিছুই থাকে। কিন্তু এগুলো খাওয়ার ফলে শরীরে যে রোজ বিপদ বাসা বাধছে তা বুঝতে অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। বলা যায় তা আমাদের খুব ক্ষতি করছে নিশব্দে । কিন্তু আমরা তা বুঝতে পারছি না।সোডিয়াম মনগুলুটামিন, পটাশিয়াম সরবেট, ব্রমিনেটেড ভেজিটেবল অয়েল, মিথাইল বেঞ্জিন, সোডিয়াম বেনজোযেট,এন্ডোসালফান এগুলি থাকে যা আমাদের শরীরে ক্যান্সারের কারন হয়ে দাড়াচ্ছে।
বলে রাখা দরকার কিছুদিন আগেই একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় জানানো হয়েছে , যারা ঘন ঘন মিষ্টি কোমল পানীয় পান করেন তাদের স্মরণশক্তি কম হওয়ার পাশাপাশি মস্তিষ্কের ঘনত্বও কমতে পারে। আর স্মৃতিশক্তিও দুর্বল হতে পারে।গবেষকরা জানিয়েছেন তাদের ওপর মারাত্মক খারাপ প্রভাব পড়েছে। যারা এই পানীয় বেশি পান করেছেন, মানে দিনে অন্তত একটা, তাদেরও মস্তিষ্কের পরিমাণ কমতে দেখা গেছে।এখানেই শেষ নয় এই কোল্ড ড্রিঙ্কস আমাদের আরও অনেক ক্ষতি করে। বেশি খেলে স্তূলতা বেড়ে যায় । আর খাবারের হজমের গোলমাল দেখা দিতে পারে। এতে ph-এর মাত্রা থাকে ২.৪ এর কাছাকাছি থাকে। এবার বলা যাক কি কি ক্ষতি করে এই সফট ড্রিঙ্কস। এতে থাকা অ্যাসিড মূত্রনালীর বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করে এবং কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।াবার ‘মেটাবলিক সিন্ড্রোম’ বা বিপাকীয় প্রক্রিয়ার বিভিন্ন সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।
আর আমাদের বোঝার আগেই ঠেলে দেয় হৃদরোগের দিকে। চিনি থাকার কারনে, আমাদের শরীরে ক্ষুধা কমিয়ে দেয়। এছড়াও একটা খারাপ জিনিস হয় আমাদের শোরীরে তা হল চিনি। হঠাৎ করেই রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে টাইপ-টু ডায়বেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এতে ক্যারামেল কালার ব্যবহার করা হয়, যা কারসিনোজেন হিসেবে কাজ করে। এটি সাধারণত টিনের ক্যানে সংরক্ষণ করা হয়। এ ক্যান বিসফেনল নামক কারসিনোজেনের উৎস। তাই বেশি খেলে পরে আমাদের ক্যন্সার হতে পারে।