বাংলাহান্ট ডেস্ক: পতৌদির নবাব প্রয়াত মনসুর আলি খানের (mansoor ali khan pataudi) মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন স্ত্রী শর্মিলা ঠাকুর (sharmila tagore) ও মেয়ে সোহা আলি খান (soha ali khan)। বুধবার ক্রিকেটার তথা পতৌদির নবাবের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর কবরে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান তাঁরা। এদিনের ছবি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন সোহা।
ছোট্ট মেয়ে ইনায়া নাওমি খেমুকে নিয়ে এদিন বাবার কবরস্থানে পৌঁছান সোহা ও শর্মিলা। প্রথা মেনে সকলেরই পরনে ছিল সাদা পোশাক। কবরে ফুল ছড়িয়ে প্রার্থনা করতে দেখা যায় তিনজনকে। আদরের নাতনিকে পেছন থেকে আলতো করে ধরে রেখেছিলেন শর্মিলা। ছবিগুলি শেয়ার করে সোহা লিখেছেন, ‘তুমি আমাদের কাছে মৃত নও যতদিন না আমরা তোমাকে ভুলে যাই।’
২০১১ সালে ৭০ বছর বয়সে প্রয়াত খান মনসুর আলি খান পতৌদি। ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল তাঁর। ছেলে সইফ আলি খান ও দুই মেয়ে সোহা এবং সাবা আলি খানের মধ্যে সোহাই সবথেকে ছোট। বোনের পোস্টে বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে হৃদয়ের ইমোজি দেন সাবা।
https://www.instagram.com/p/CUHcv0EhPCS/?utm_medium=copy_link
এই মুহূর্তে মা শর্মিলার সঙ্গে পতৌদি প্যালেসে রয়েছেন সোহা। সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সোহা জানান, ছোটবেলায় বাবাকে বাইরে কাজ করতে যেতে বেশি দেখেননি তিনি। বরং মাকেই কাজের জন্য বাইরে বেশি যেতে হত। বাবা ছেলেমেয়েদের সামলানোর জন্য ঘরে থাকতেন। সোহা বলেন, ছোট থেকেই বিষয়টা দেখে একটা জিনিস তাঁরা শিখেছিলেন যে মায়েদেরও নিজস্ব একটা স্বপ্ন থাকে। স্বাভাবিক চোখেই সেটা দেখা উচিত।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে মনসুর আলি খান পতৌদির মৃত্যুর পরের বছরই করিনাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সইফ। এতে মানসিক ভাবে আরোই ভেঙে পড়েছিলেন শর্মিলা। ছেলের দ্বিতীয় বিয়ের আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “এটা আমার জন্য নিঃসন্দেহে খুশির দিন কিন্তু আমি একটি পুরনো শাড়িই পড়বো। এতে অনেকে ভাবতে পারেন এই বিয়েতে আমার উৎসাহ নেই। কিন্তু ক্ষমা করবেন মাত্র এক বছর আগে আমি আমার স্বামীকে হারিয়েছি।”