বাংলাহান্ট ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থেকে তৃণমূলের (tmc) হয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী (soham chakraborty)। এর আগেও নির্বাচনে প্রার্থী হলেও জয়ের মুখ দেখেননি। কিন্তু এবার ভাগ্য সহায় ছিল অভিনেতার। অতি সম্প্রতি নতুন বিধায়ক হিসাবে শপথ নিয়েছেন সোহম। আর তারপরেই কোমর বেঁধে কাজে নেমে পড়েছেন তিনি।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে টালমাটাল অবস্থা গোটা দেশ সহ বাংলায়। এমন পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলায় হাত লাগিয়েছেন সোহম ও তাঁর টিম। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বরানগরের হাসি খুশি ক্লাবও। বরানগর পুর অঞ্চল, দমদম, শ্যামবাজার, বেলগাছিয়া, কাশীপুর, ব্যারাকপুর, সোদপুর সহ দক্ষিণ কলকাতার কিছু অঞ্চলে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তারা।
করোনা আক্রান্তের বাড়িতে স্যানিটাইজ করা থেকে শুরু করে যে সব বাড়িতে অসহায় বৃদ্ধ বৃদ্ধারা একা রয়েছেন তাদের খাবার, ওষুধ পৌঁছে দেওয়া, করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করা সবই করছে সোহমের টিম। ফেসবুকে সহযোদ্ধাদের সবাইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সোহম।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৬ তে বড়জোড়ায় প্রার্থী করা হয়েছিল সোহমকে। কিন্তু সেবার জয়ের মুখ দেখেননি অভিনেতা। তবে এতদিন যুব তৃণমূলের সহ সভাপতির দায়িত্ব নিষ্ঠা ভরেই সামলেছেন তিনি। এবার চণ্ডীপুর থেকে প্রার্থী হয়ে জয়ও ছিনিয়ে এনেছেন সোহম।
তবে সেই জয়ের আনন্দ তেমন উপভোগ করতে পারেননি সোহম। নির্বাচনের ফল ঘোষনার অভিনেতার দিনই পরিবারে পাওয়া যায় মৃত্যুসংবাদ। আত্মঘাতী হন সোহমের শ্যালিকা পারমিতা নাথ। মাত্র ৩৫ বছরেই মৃত্যু হয় তাঁর। ভোটের ফল ঘোষনার দিন অর্থাৎ রবিবারই কেষ্টপুরের এএইচ ব্লকের অভিজাত আবাসন থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। আবাসনের দোতলায় নিজের ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। পুলিস এসে দেহ ময়নতদন্তে পাঠায়।
পারমিতাদেবীর আত্মহত্যার পেছনে তাঁর স্বামী রুদ্রপ্রসাদ ও শাশুড়ি বাসন্তী নাথের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় দুজনকে। জানা গিয়েছে, পারমিতার উপর প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতো তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি।
পারমিতার উপর বিবাহ বিচ্ছেদের জন্যও চাপ দেওয়া হত বলে জানা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে অবসাদে ভুগেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন পারমিতা। তাঁর স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের হয়েছে বলে খবর পুলিস সূত্রে।