বাংলাহান্ট ডেস্কঃ টিকটক (tiktok) নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে তৃণমূল সহ অন্যান্য বিরোধীরা মোদি সরকারের এই ব্যানের যৌক্তিকতা প্রশ্ন তুলেছেন৷ অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহানের (nusrat jahan) পর আরো একবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন অভিনেতা সোহম (soham)।
গত ২৯ জুন চিনা অ্যাপে নিষেধাজ্ঞার বিজ্ঞপ্তি জারি করে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের 69 ধারা ব্যবহার করে এই অ্যাপ গুলিতে নিষিদ্ধ করা হয় এবং সরকারের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় যাতে বলা হয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্ব ও সুরক্ষার প্রশ্নে বিপদজনক এই চিনা অ্যাপগুলি। লাদাখ সীমান্তে ভারত-চীন উত্তেজনার মাঝে ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্ত চীনের কাছে কড়া বার্তা পৌঁছে দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল।
এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। নিজের কোনো অসুবিধা নেই জানিয়েও তিনি বলেছিলেন, টিকটক ব্যান করা সরকারের হঠকারী সিদ্ধান্ত। মানুষকে বেকারত্বের যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে এবার। নোট বন্দির মতো অবস্থা হবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, দেশের সুরক্ষার জন্য এই সিদ্ধান্ত হলে কোনও অভিযোগ থাকার কথা নয়। কিন্তু যেসব চিনা সংস্থা ইতিমধ্যেই দেশে বিনিয়োগ করেছে তাদের কি হবে? যারা দেশে চিনা দ্রব্য আমদানি রফতানির কাজ করেন তারাই বা কি করবেন?
আজ এই ইস্যুতে নুসরতের বক্তব্যকেই সমর্থন করেছেন সোহম। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, চিনা অ্যাপ বর্জন করলেই কি শহিদরা জীবিত হয়ে ফিরে আসবেন ?। পাশাপাশি চীনের নোংরা রাজনীতি নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। বিশ্ব মহামারির পেছনে চীনের এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কথাও বলেছেন।