বাংলাহান্ট ডেস্ক : শারজাহ (sharjah)থেকে ভারতীয়দের (Indians)বহনকারী একটি বিমান লখনউ (lucknow ) বিমানবন্দরে শনিবার গভীর রাতে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে অবতরণ তাড়াতাড়ি বুঝতে পেরেছিলো অবশেষে তাদের স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে। তখন অনেকেই চোখের সামনে মাথা নত করে দেশের মাটি মাথা ঠেকায়। প্রত্যেকেরই বিদেশে কাটানো কঠিন সময়গুলির নিজস্ব গল্প ছিল। আর সেগুলি তারা তুলে ধরে।
মেয়েদের বিয়ের জন্য টাকার অভাবে দুবাই যাওয়া
কুশিনগরের বাসিন্দা প্রমোদ যাদব পাঁচ মাস আগে কাজের জন্য দুবাই গিয়েছিলেন, কিন্তু করোনা সেইসব ছিনিয়ে নেয়। তিনি বলেন, ” ঘরে দুটি মেয়ে আছে, তাদের বিয়ে দিতে হবে। আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবদের কাছ থেকে টাকা ধার করে দুবাই গিয়েছিলেন কাজের জন্য। সেখান দিয়ে উপার্জন করার অর্থ দিয়ে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার কথা ছিলো কিন্তু কিছুই হোলোনা।এই পরিস্থিতিতে ওই সংস্থাটি জানায় বিশেষ একটি বিমান ভারতে যাচ্ছে, আপনি যেতে চাইলে টিকিট কেটে যান। কিন্তু বন্ধুদের কাছ থেকে ধার করা টাকা দিয়ে আমি টিকিট পেয়ে ফিরে আসতে পেরেছি। ”
আর্থিক সমস্যায় পড়ে স্বামী স্ত্রীকে লখনউতে পাঠিয়ে দেয়
লখনউয়ের বাসিন্দা শকুন্তলা মাস দুই আগে দুবাইতে তার স্বামীর কাছে গিয়েছিলেন। শকুন্তলা জানায় ” “আমার স্বামী সেখানে কাজ করেন। করোনার ভাইরাসের কারণে লকডাউন সবাইকে গৃহবন্দী করেছিলো।আর আমরা সবাই এই পরিস্থিতিতে আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হই । এরপরে টুইটার থেকে প্রকাশিত হয়েছিল যে ভারত সরকার দুবাইয়ে আটকা পড়ে থাকা লোকদের ভারতে ফিরিয়ে আনবে, তারপরে তারাই আমাকে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে ফেরত পাঠায় কিন্তু আমার স্বামী এখনো ফিরতে পারেন নি। ”
প্রয়াগরাজের বাসিন্দার গল্প
প্রয়াগরাজের বাসিন্দা শঙ্কর যাদব একটি সংস্থার সুপারভাইজার হিসাবে সৌদিতে কাজ করছেন। বাড়ীর জন্য প্রচুর অর্থ উপার্জন করতেন। অনেক কষ্ট করে টাকা উপার্জন করে সে বাড়িতে টাকা পাঠায় কিন্তু কোরোনায় সব শেষ হয়ে গেলো। এই কদিন আমাকেও কোম্পানিতেই থাকতে হয়েছিল। আমাদের সাথে আরও কিছু লোক ছিল। এরপর ভারতে আসতে আমি অ্যাপের মাধ্যমে দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করি। আর জানতে পারার সাথে সাথে আমি আমার টিকিট কেটে বাড়িতে ফিরি। আর বাড়িতে ফিরে এসেছে মনে হচ্ছে প্রাণে বাঁচলাম।দেশে ফিরে কেঁদে বলেন আর কোনোদিন বিদেশ যাবোনা