বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আমফান ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিপূরণ নিয়ে রাজ্যে ব্যাপক হারে দুর্নীতি হয়েছে। আর প্রতিটি দুর্নীতিতেই নাম জড়িয়েছে শাসক দল তৃণমূলের (All India Trinamool Congress)। রথের পরের দিন সর্বদলীয় বৈঠকে বিজেপি, সিপিএম সবাই একসুরে আমফান দুর্নীতির কথা তোলা ধরেছিলেন মমতা ব্যানার্জীর (Mamata Banerjee) সামনে। যদিও, এরপরেও ত্রাণ দুর্নীতি একটুকুও কমেনি। আজ নবান্নের বৈঠকে এই ত্রাণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বড় কথা বললেন। উনি জানান, ‘ত্রাণের টাকা দ্রুত পাঠাতে গিয়ে কোথাও কোথাও ভুল হয়ে গিয়েছ।” তবে প্রতিবারই একই ভুল কি মেনে নেবে রাজ্যবাসী?
আজ নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেন, ‘আমরা আমফানে বিধ্বস্ত মানুষদের তাড়াতাড়ি টাকা পাঠাতে চেয়েছিলাম। আর এই তাড়াহুড়োতে কোথাও কোথাও ভুল হয়ে গিয়েছে। আমি বলছি, সবাই টাকা পাবে কেউ বাদ যাবেনা। দয়া করে এটা নিয়ে রাজনীতি করবেন না।”
এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আসলে তৃণমূল নেতাদের চুরি ধরা পড়ে গিয়েছে। দলের নেতাদের বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে।” দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের টাকা দিতে হবেই। তবে যেসব তৃণমূল নেতারা ক্ষতিপূরণের টাকা মেরে খেয়েছে, তাদের থেকে শুধু টাকা ফেরত নিয়ে ছেড়ে দিলে হবেনা। সরকারি টাকা আত্মসাতের জন্য তাদের কড়া শাস্তি দিতে হবে।”
আরেকদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সৎ সাহস থাকলে আজকের মতো সেদিনের সর্বদলীয় বৈঠকটাও লাইভ করাতেন। আমরা সেদিন প্রতিটি তৃণমূল নেতার নাম ধরে ধরে বলেছিলাম, কে কত টাকা খেয়েছে আর পরিজনদের কত করে দিয়েছে। আমরা এটাও দাবি করেছি যে, যারা টাকা পাচ্ছে তাদের নামের তালিকা বিডিও অফিসের সামনে ঝোলানো হল। কিন্তু সরকারের সেই সৎ সাহস নেই।