বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিশ্বের সেরা ধনীদের তালিকায় থাকা অনেকেই ভারতীয়। এদের মধ্যে একটা সময় যেমন প্রায় প্রবাদবাক্য হয়ে উঠেছিল টাটা এবং বিড়লার নাম, তেমনি এখন সকলেই জানেন ভারতের সর্বোচ্চ ধনপতি হলেন মুকেশ আম্বানি। যদিও টাটার জন্য দুঃসংবাদ হল ফোর্বস সম্প্রতি যে সেরা ১০০ জন ধনী ভারতীয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে নেই রতন টাটার নাম। যদিও মাত্র কয়েকদিন আগেই এয়ার ইন্ডিয়া কিনে নিয়েছে টাটা গ্রুপ। তবে টাটার নাম না থাকলেও রয়েছেন আদানি আম্বানি প্রত্যেকেই। আসুন দেখে নেওয়া যাক ভারতের কয়েকজন সেরা ধনীর পরিচয়।
মুকেশ আম্বানিঃ
রিলায়েন্স জিওর মালিক মুকেশ আম্বানি টেলিকমের দুনিয়ায় প্রবেশ করার সাথে সাথেই কার্যত এই সেক্টরে বিপ্লব এনে দেন। আপাতত ১৪ তম বার ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির খেতাব জিতে নিলেন তিনি। এই মুহূর্তে তার সম্পদের পরিমাণ ৯৭.৭ বিলিয়ন ডলার। সারাবিশ্বে সেরা ধনীদের তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছেন তিনি।
গৌতম আদানিঃ
ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধনপতি গৌতম আদানি। বিশ্বে এই মুহূর্তে যার স্থান ১৫ তম। গ্রীন এনার্জি, কয়লা উত্তোলন, গ্যাস-তেল, বিদ্যুৎ সমস্ত সেক্টরেই এই মুহূর্তে কার্যত প্রথম নাম আসে তার। জীবনের প্রথম দিকে হীরের ব্যবসা শুরু করে মাত্র কুড়ি বছর বয়সেই বিলিওনিয়ারদের তালিকায় নাম তুলেছিলেন আদানি। আদানি একমাত্র ভারতীয় যিনি ৫ লক্ষ কোটি টাকার এন্টারপ্রাইজ স্থাপন করেছেন। বিশ্বের বৃহত্তম কয়লা খনি কারমাইকেল, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাবট পয়েন্ট বন্দর এবং গুজরাটের মুন্দ্রা বন্দরের মালিক তিনি।
শিব নাদারঃ
এইচসিএল-এর মালিক শিব নাদার ১৯৭৬ সালে একটি পরিত্যক্ত গ্যারেজে চাকরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। সে সময়ে এইচসিএল ক্যালকুলেটর এবং মাইক্রোপ্রসেসর উৎপাদন শুরু করে। ১৯৮০ সালে সিঙ্গাপুরে কম্পিউটার বিক্রি করতে শুরু করে বিশ্বব্যাপী বাজারে প্রবেশ করে এইচসিএল। এখন শিব নাদারের মোট সম্পদের পরিমাণ ৩১.৩ বিলিয়ন ডলার।
আরকে দামিনীঃ
রাধাকিশান দামিনী সারাবিশ্ব চেনে ডি মার্টের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে। ২০০২ সালে তিনি মুম্বাইয়ের খুচরা ব্যবসায় যোগ দেন। তবে তার উত্থান মূলত ২০১৭ সাল থেকে, এই সময় থেকেই এভিনিউ সুপারমার্টের আইপিও সারা দেশব্যাপী সমস্ত ডি-মার্ট স্টোর নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে। তার মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ২৯.৪ বিলিয়ন ডলার।
সাইরাস পুনাওয়ালাঃ
কোভিড ১৯ একদিকে যেমন তৈরি করেছে বিপুল অর্থনৈতিক ধ্বস, বাড়িয়ে দিয়েছে বেকারত্ব। তেমনই আবার অন্যদিকে এই সময়ে রীতিমতো লাভবান হয়েছে ফার্মেসি ঔষধপত্র সংক্রান্ত ব্যবসাগুলি। সাইরাস পুনাওয়ালা তাদেরই একজন যিনি কোভিড ১৯ চলাকালীনও বিপুল লাভ পেয়েছেন। এই মুহূর্তে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১৯ বিলিয়ন ডলার। ১৯৬৬ সালে তিনি ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করেছিলেন। এর আগেও হাম, ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের টিকা তৈরি করেছে। এখন অ্যাস্ট্রোজেনেরকার সঙ্গে জুটি বেঁধে করোনার টিকাও তৈরি করছে তারা।
লক্ষ্মী মিত্তালঃ
লক্ষ্মী মিত্তাল ভারতের স্টিল কিং হিসেবে পরিচিত। এইমুহূর্তে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১৮.৪ বিলিয়ন ডলার। মিত্তাল ২০০৮ সালে ফোর্বস লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার পেয়েছিলেন। উৎপাদনের দিক থেকে দেখতে গেলে সারা বিশ্বের সবথেকে বড় ইস্পাত উৎপাদন খনির মালিক মিত্তাল গ্রুপ।
সাবিত্রী জিন্দালঃ
১৮ বিলিয়ন ডলার সম্পত্তি নিয়ে লক্ষ্মী মিত্তালের ঠিক পরেই রয়েছেন সাবিত্রী জিন্দাল। জিন্দাল গ্রুপ ইস্পাত, বিদ্যুৎ, সিমেন্ট এবং অবকাঠামো খাতে কাজ করে। যদিও মূলত স্বামীর মৃত্যুর পরেই ব্যবসাক্ষেত্রে প্রবেশ করেন সাবিত্রী।