বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মালদায় (Malda) অনুষ্ঠিত গণবিবাহতে (Mass marriage) হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিয়ে দেওয়া হল ৩০০ জন আদিবাসী ছেলেমেয়েকে। এই বিয়েতে মুখ্যমন্ত্রীর উপহার দেওয়ার পাশাপাশি আয়োজন করা হয়েছিল খাওয়া দাওয়ার। মেনুতে ছিল বিশেষ বিশেষ পদ।
বিয়ের প্রস্তুতিতে বুধবার রাত থেকেই ভিয়েন চাপানো হয়েছিল গাজোল কলেজের মাঠে। প্রায় কুড়িটি উনুনে করে ২০ জন রাঁধুনি রান্না করেছিলেন। তৈরি করা অস্থায়ী রান্নাঘর জুড়ে রাত থেকেই মম করছিল সব খাবারের গন্ধ। বিয়ে বাড়ির মেনুতে (Menu) ছিল- সাদা ভাত, ডাল যাতে ছিল কাজু-কিসমিস, মিক্স ভেজ, দেশি মুরগির মাংস, চাটনী ও স্পঞ্জ রসগোল্লা। প্রায় ৮০০ জনের রান্না করা হয় এদিন এই অনুষ্ঠানে।
রান্নার কাজের দেখভালের জন্য দায়িত্বে ছিল প্রশাসন। বিনা অনুমতিতে সেখানে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। রান্নার কাজে কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা তা দেখতে বারবার খোঁজ নিচ্ছিলেন মালদহ পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। রাঁধুনিদের মধ্যে অন্যতম একজন রাঁধুনি পলাশ দাস জানিয়েছিলেন,, “বুধবার রাত থেকে আমরা খাবার তৈরি করেছি। সকলকেই গরম গরম খাবার পরিবেশন করের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। প্রায় ১০ হাজার মানুষের খাবার তৈরি করা হয়েছিল’’।
বিয়ের অনুষ্ঠানে সবথেকে আকর্ষনীয় বিষয় ছিল মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া উপহার (Gift)। বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নবদম্পতির হাতে তুলে দিয়েছিলেন কনের শাড়ি ও সাজগোজের নানা উপকরণ। তারসঙ্গে ছিল বররে পোষাক। এছাড়া নতুন সংসারের ব্যবহারের জন্য বাসনপত্র সহ নানা জিনিস দেওয়া হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী বলেন ‘’এবার থেকে এই অনুষ্ঠান রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত সমস্ত এলাকায় করা হবে। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে উত্তরের এক চা বাগানে এমনই এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে’’। আদিবাসীদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে তাঁদের ধর্মকে মেনেই তাঁদের এই বিয়ের নিয়ম রীতি পালন করা হয়েছিল।