বাংলাহান্ট ডেস্ক : কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলা থেকেই বিষ্ণোইদের নিশানায় চলে এসেছেন সলমন খান (Salman Khan)। তারপর থেকেই লাগাতার খুনের হুমকি পেয়ে চলেছেন তিনি। এমনকি সলমনের জন্য বিপদে পড়ছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরাও। একমাত্র নিজের কৃতকর্মের জন্য বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাইলেই রেহাই পাবেন সলমন (Salman Khan), এমনি নিদান দেওয়া হয়েছে বিষ্ণোইদের তরফে। এবার কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের দিনের ঘটনা জানালেন সলমনের (Salman Khan) প্রাক্তন সোমি আলি।
শিকারের দিন সলমনের (Salman Khan) সঙ্গে ছিলেন সোমি
‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ে রাজস্থানে গিয়ে সলমন (Salman Khan) কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেছিলেন বলে শোনা যায়। ওই ঘটনার জেরে আইন আদালতও হয়েছিল। কী ঘটেছিল সেদিন? সলমনের (Salman Khan) প্রাক্তন প্রেমিকা সোমি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানান, শিকারের দিন তিনি অভিনেতার সঙ্গেই ছিলেন। তবে শিকারে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে যাননি সলমন। কারণ সোমির কথায়, বন্যপ্রাণীদের পেছনে ছুটে বেড়ানোটা তাঁর কাছে কোনো খেলা নয়।
আরো পড়ুন: ‘বোরখা পরে নমাজে বসো’, বিয়ে হতে না হতেই গৌরীর হিন্দু নাম বদলে দিয়েছিলেন শাহরুখ!
প্রাক্তনের পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী
তবে হরিণ শিকারের বিষয়ে সলমনের (Salman Khan) পাশেই দাঁড়িয়েছেন সোমি। কৃষ্ণসার হরিণ যে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের পূজনীয় তা নাকি সত্যিই জানতেন না ভাইজান। তাই তাঁর ক্ষমা চাওয়াটাও অনর্থক। তিনি আরো বলেন, ইগোর লড়াইয়ে জেতার জন্য কাউকে জোর করা যায় না।
আরো পড়ুন: সিরিয়ালের পর এবার বাস্তবে, বিয়ে করছেন অন্বেষা! কাকে মন দিলেন ‘আনন্দী’?
কী বললেন সোমি
সলমনের (Salman Khan) প্রাক্তন প্রেমিকা হলেও এ বিষয়ে অভিনেতার পক্ষই নিয়েছেন সোমি। তিনি বলেন, সলমন বা তাঁর পরিবারের সঙ্গে তাঁর এখন আর কোনো সম্পর্ক না থাকলেও প্রাণনাশের হুমকি বন্ধ হোক সেটাই চান তিনি। হিংসা কোনো কিছুর সমাধান হতে পারে না বলেই মনে করেন সোমি।
প্রসঙ্গত, অল ইন্ডিয়া বিষ্ণোই সমাজ এর সম্পাদক হনুমানরাম বিষ্ণোই একটি নিদান দিয়েছেন যার মাধ্যমে প্রাণরক্ষা করতে পারেন সলমন। হনুমানরাম বিষ্ণোই বলেছেন, বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের থেকে ক্ষমা পেতে হলে ওই ব্যক্তিকে যেতে হবে মুক্তিধাম মুকামে, যা অবস্থিত রাজস্থানের বিকানেরে। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে এই মন্দির সবথেকে পবিত্র ধর্মীয় স্থান। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মানুষরা বিশ্বাস করেন, কোনো ব্যক্তি কোনো অপরাধ করলে তার মধ্যে অনুশোচনা বোধ থাকা আবশ্যক। এতে সে প্রায়শ্চিত্ত করতে পারবে। আর কোনো ব্যক্তি যদি বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে করা কোনো অপরাধের ক্ষমা পেতে চান, তবে তাকে মুক্তিধাম মুকামে গিয়ে সমগ্র সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তবে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ক্ষমা চাইলেও তা গ্রহণযোগ্য হবে কিনা সেটা ঠিক করবেন বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের সদস্যরাই।