সম্পত্তি না লিখে দেওয়ায় অসুস্থ বৃদ্ধা মা কে বের করে দিল গুণধর ছেলে

 

সনাতন গরাই,দুর্গাপুর: নচিকেতা গানে বলছে “একশ বছর বাঁচতে চাই এখন আমার সাধ,পচিশ বছর পরে খোকার হবে উনষাট”।পাপ বাপ কেউ ছাড়ে না,তারপর মায়ের গায়ে হাত দেওয়া যার নরকেও ঠাঁই হয় না।সম্পত্তির লোভে অসুস্থ মা কে বৃষ্টির মধ্যে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দরজায় তালা লাগিয়ে দিল গুণধর ছেলে।দুর্গাপুরের ৩৮নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা এই পদ্মা চ্যাটার্জী।বছর খানেক দুর্গাপুর ডি পি এলে কাজ করতেন পদ্মা দেবীর স্বামী।এখন সে আর বেঁচে নেই।তাই জমানো টাকায় পদ্মা দেবীর ভালোই চলে যায়।সেই সুখ সহ্য হয়না তার বড়ছেলের।

 

পদ্মাদেবীর দুই ছেলে এক ছেলে তার পাশে থাকে আর বড় ছেলে বিয়ের পর লোবারহাটে থাকে।তার গুণধর বড়ছেলে বাসুদেব চ্যাটার্জী মাঝে মাঝে এসে মা কে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য মা এর বাড়িতে এসে মা কে শাসিয়ে যেত।সেইরকমই গত কয়েকদিন আগে গুণধর ছেলে বাসুদেব ও তার স্ত্রী আসে তার মায়ের বাড়িতে এবং তার মা কে সমস্ত সম্পত্তি তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়।তার মা বলে পরে লিখে দেব এখন সম্ভব না,তখন বাসুদেব ও তার স্ত্রী অসুস্থ বৃদ্ধা মা কে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে একদম জিনিসপত্র সহ বের করে দেয় এবং দরজায় তালা লাগিয়ে বাসুদেব চলে যায়।

IMG 20190729 WA0042

প্রতিবেশীরা জানান আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের গালি গালাজ করে ওই ছেলে।পদ্মাদেবী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে তার ছোট ছেলে ও প্রতিবেশীরা।পদ্মাদেবী সুস্থ হয়ে উঠলে সোমবার কোকোভেন থানায় তার বড়ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।কোকোভেন থানার পুলিশ পদ্মা চ্যাটার্জীর বাড়িতে যান এবং পাড়া প্রতিবেশীদের সাথে ঘটনাটা জেনে নেই।কোকোভেন থানার পুলিশ জানান বাসুদেব চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত খবর